thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

বিশ্বজিত হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

২০১৭ আগস্ট ০৬ ১৬:৫০:২৬
বিশ্বজিত হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে রবিবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

একইসঙ্গে ১৫ জনকে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

এই মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি হলেন রাজন তালুকদার ও রফিকুল ইসলাম শাকিল। এই দুজনের মধ্যে শাকিল গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকলেও রাজন পলাতক রয়েছেন।

এই মামলায় নিম্নআদালত আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। বাকি আসামিদের মধ্যে মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন ও মীর নূরে আলম মিলনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মীর নূরে আলম মিলন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিম্নআদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিঞা খালাস পেয়েছেন।

নিম্ন আদালতের রায়ে ১৩ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে কারাগারে থাকা গোলাম মোস্তফা ও এ এইচ এম কিবরিয়াকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি ১১ জন আপিল না করায় তাদের বিষয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করেননি।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ১১ আসামি হলেন- ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। ফলে তাদের সাজা বহাল রয়েছে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাবিনা ইয়াসমিন মলি। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শাহ আলম ও মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সবুজ শুনানি করেন।

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। শুনানি শেষে গত ১৭ জুলাই আদালত ৬ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ। তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক ৬ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সরকারের সিদ্ধান্তে ওই বছরজুলাই মাসে মামলাটি পাঠানো হয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক যে রায় দেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া বেআইনি সমাবেশের আরেকটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ১৩ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/আগস্ট ৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর