thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ১৫ এপ্রিল 24, ২ বৈশাখ ১৪৩১,  ৬ শাওয়াল 1445

ট্র্যাফিক জ্যাম এড়াতে…

২০১৭ আগস্ট ১১ ১০:৪৯:৩১
ট্র্যাফিক জ্যাম এড়াতে…

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : প্রাত্যহিক জীবনের বড় সমস্যা ট্রাফিক জ্যাম। আর এটি যদি হয় অফিস যাওয়ার সময় তবে ঠিক কেমন অভিজ্ঞতা হয় তা প্রায় আমাদের সবারই জানা। পৃথিবীর বহু শহরেই জ্যামের কারণে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। সমস্যা এড়াতে অনেকেই বেছে নেন বিভিন্ন উপায়। কিন্তু বেঞ্জামিন যে উপায় নিলেন, তা একেবারেই অভিনব।

জার্মানির মিউনিখেও ট্র্যাফিক জ্যামের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকতে হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। সমস্যা হয় বছর চল্লিশের বেঞ্জামিন ডেভিডেরও। আর তা থেকে বাঁচতে এমন পন্থা নিলেন, যার ফলে একেবারে খবরের শিরোনামে চলে এলেন। জ্যাম থেকে বাঁচতে সকালে সরাসরি তিনি ঝাঁপ দেন ইসার নদীতে। এর পর দুই কিলোমিটার সাঁতরে চলে যান কালটারস্ট্রান্ডে তার অফিসে।

এর আগে বেঞ্জামিন মিউনিখের অন্যান্য বাসিন্দার মতোই অফিসে যেতেন গাড়িতে বা সাইকেলে চেপে। কিন্তু একটা সময় প্রতিনিয়ত জ্যাম বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে তার কাছে। এর পর থেকে তিনি অফিসে যাওয়ার একটি বিকল্প পথের কথা চিন্তা করতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নেন সাঁতরে অফিসে যাওয়ার উপায়।

ইসার নদীটি বেঞ্জামিনের অ্যাপার্টমেন্টের কাছেই। যার জেরে খুব সহজেই এই নদীতে সাঁতার কেটে অফিস যাওয়ার কথা মাথায় আসে তার। যদিও নদীটি যাতায়াতের জন্য তেমন ব্যবহৃত হতো না। দুই বছর ধরে সাঁতরেই অফিসে যাচ্ছেন বেঞ্জামিন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য তিনি ব্যবহার করেন এমন একটি বিশেষ ব্যাগ যা ভেজে না। এই ব্যাগটিকে বন্ধ করলে এর মধ্যে বাতাস আটকা পড়ে, যার কারণে এর ওপর ভর করে অনায়াসেই ভেসেও থাকা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে সাঁতার কাটার পর বেঞ্জামিন যখন ক্লান্ত বোধ করে তখন ব্যাগটির ওপর ভর করে জিরিয়ে নেন কিছুক্ষণ।

সাঁতরে অফিসে পৌঁছাতে বেঞ্জামিনের সাধারণত সময় লাগে আধ ঘণ্টা। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর তিনি গা মুছে টি-শার্ট পরে চলে যান অফিসে। বেঞ্জামিন জানিয়েছেন, যে সময়ের মধ্যে অফিসে পৌঁছে যান সে সময় তার সহকর্মীরাও পৌঁছান না।

(দ্য রিপোর্ট/এম/এনআই/আগস্ট ১১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর