thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

মণিরাপুরে বাওড় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিমা ভাঙচুর

২০১৭ আগস্ট ১২ ২১:২৪:৩৮
মণিরাপুরে বাওড় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিমা ভাঙচুর

যশোর অফিস : মণিরামপুরের ঝাঁপা বাওড় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলার রামপুর-রাজবাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরের সভাপতি-সম্পাদকের অভিযোগ, বাওড়টি দখল নিতে একাধিক স্বার্থান্বেষী মহল তৎপর। তাদের ইন্ধনে শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে কোন এক সময় মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে, বর্তমানে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রামপুর-রাজবাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি মহেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৯টার পর প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঝাঁপা বাওড় নিয়ে ঝাঁপা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সেই দ্বন্দ্বের জেরে এই প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঝাঁপা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সচিব এনআই খানের দুই ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব খান ও কাবিল খান আর সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস। চলতি বছর জেলা প্রশাসন থেকে ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় বাওড়টি ইজারা পায় সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ভূমি আপিল বিভাগ থেকে ওই ইজারা বাতিল করে ঝাঁপা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই খবরে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা শুক্রবার রাতে রামপুর ও রাজবাড়ি গ্রামে হামলা চালায়। কিন্তু এসময় কোন পুরুষ বাড়িতে না থাকায় তারা মন্দিরে নতুন তৈরি হওয়া দূর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করে। এর আগে দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে মানববন্ধ, স্মারকলিপি প্রদানসহ সংবাদ সম্মেলনও করে।

রাজবাড়ি গ্রামের গৃহবধূ অর্চনা বিশ্বাস, জ্যোৎসা বিশ্বাস সোনালী বিশ্বাস জানান, কাল রাতে ঝাঁপা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লোকজন মাইক বাজিয়ে বাওড় দখল করতে আসে। তারা গ্রামে পুরুষদের খুজতে থাকে। কিন্তু তাদের না পেয়ে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। এসময় অনেকে অপরিচিত লোক ছিল। তবে হামলাকারীদের মধ্যে হাবিবুর রহমান খানের অনুগত কাদের, খলিল, মাহাবুব, হারাধন, অসীম, মামুন খান ছিলেন। তারা মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

অভিযুক্ত ঝাঁপা বাওড় সমবায় সমিতির পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আদালতে হেরে গেছে। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা সুব্রত প্রতিমা ভাঙচুর করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।’

এব্যাপারে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকারম হোসেন বলেন, ‘কোন সাম্প্রদায়িকতা নয়, ঝাঁপা বাওড় নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কে বা কারা ভাঙচুর করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/আগস্ট ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর