thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

মানবতাবিরোধী অপরাধ

আজহার-কায়সারের মামলা আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়

২০১৭ আগস্ট ১২ ২২:১৮:২৬
আজহার-কায়সারের মামলা আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মামলা আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চে শনিবারের (১২ আগস্ট) কার্যতালিকায় আজহারের মামলাটি ২ ও কায়সারের মামলা ৩ নম্বরে রয়েছে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

২০১৬ সালের ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর চলতি বছরের ১৫ মার্চ জামায়াতের অপর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রিভিউ নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। এরপর মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলা প্রথম আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসল।

এটিএম আজহার : ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল এটিএম আজহারের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা এস এম ইদ্রিস আলী। ওই বছর ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যুদ্ধাপরাধের ছয় ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আজহারের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

বিচার শেষে তার বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগের পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

রায় ঘোষণার প্রায় এক মাস পর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন আজহার। আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর সেই আপিল শুনানির জন্য এবার কার্যতালিকায় আসল।

সৈয়দ মো. কায়সার : এরশাদ সরকারের কৃষি প্রতিমন্ত্রী কায়সার ২০১৩ সালের ২১ মে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারের প্রায় পুরো সময় তিনি জামিনে ছিলেন।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আপিল করেন কায়সার। আপিলে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চাওয়া হয়েছে। আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর সেই আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসল।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এমএইচএ/আগস্ট ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর