thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

পুকুর খাল উন্নয়নে ব্যয় ১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা

২০১৭ আগস্ট ১৩ ১৯:০২:২১
পুকুর খাল উন্নয়নে ব্যয় ১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা

জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : সারাদেশে পুকুর খাল উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি ৯৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আগামী সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কাজ শেষ করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, পুকুর, দিঘী ও খাল খননপূর্বক স্থানীয় যুবসমাজকে বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সারা বাংলাদেশের পুকুর দিঘী খালের জেলাওয়ারী তালিকা প্রস্তুত করে তা খননের প্রাথমিক পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সালের ২৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। এই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মাঠ পর্যায় থেকে সারা দেশের পুকুর, দিঘী ও খাস খালের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে, এলজিইডির ইনট্রিগ্রেটেড ওয়াটার রির্সোসেস ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (আই ডব্লিউ আর এম ইউ) এর মাধ্যমে সরেজমিন যাচাই-বাছাই করে খাল, দিঘী ও পুকুরগুলোর জেলাভিত্তিক তালিকা তৈরি করা হয়।

এলজিইডির মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের জরিপের মাধ্যমে সারাদেশে মোট ১৪ হাজার ৯১০টি খাস পুকুর, দিঘী, ৩ হাজার ৪৯৩টি প্রাতিষ্ঠানিক এবং ৬ হাজার ৫৩৬টি খাস খালের তথ্য পাওয়া যায়। তার মধ্যে দেশের ৫৬টি জেলায় ৯২১টি খাস খাল পুনঃখনন ও ১ হাজার ৬১১টি প্রাতিষ্ঠানিক পুকুর, দিঘী পুনঃখননের জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, ৯২১টি খাস খাল পুনঃখনন, ১ হাজার ৬১১টি প্রাতিষ্ঠানিক পুকুর দিঘী পুনঃখনন, ৯৩৮টি ঘাট নির্মাণ, মেরামত এবং খাল, পুকুর পাড়ে বৃক্ষরোপণ করা হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, পুকুর, দিঘী ও খাল উন্নয়নের মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ এবং তা বিভিন্ন আয়-বর্ধক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামীণ বেকার ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকায কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে, যা দারিদ্র্য বিমোচনসহ পরিবেশের ভারসাম্য আনয়নে অবদান রাখবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এপি/১৩ আগস্ট ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর