thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

যশোরে মায়ের বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার অভিযোগ

২০১৭ আগস্ট ১৬ ২১:২২:৪২
যশোরে মায়ের বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার অভিযোগ

য‌শোর অ‌ফিস: য‌শো‌রের বাঘারপাড়ায় এক মায়ের বিরুদ্ধে সন্তানকে হত্যা করে লাশ নদীতে জাগ দেওয়া পা‌টের নি‌চে লু‌কি‌য়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরকীয়া প্রেমের কারণে ওই নারী চার বছর বয়সী ছে‌লে‌কে হত্যা ক‌রে‌ছেন বলে অভি‌যোগ। পু‌লিশ লাশ উদ্ধার ক‌রে বুধবার (১৬ আগস্ট) সকা‌লে য‌শোর জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পা‌ঠি‌য়ে‌ছে।

নিহত মিনহাজুর যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের জোড়াদহ গ্রামের ইমদাদুল হক পলাশের ছেলে।

নিহতের দাদা ইনসার আলী বলেন, ‘বাঘারপাড়ার তৈলকুপ গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে সালমা বেগমের সঙ্গে আমার ছেলে ইমদাদুল হক মিলনের ৬-৭ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ছেলেসন্তান মিনহাজ হোসেন। আমার পুত্রবধূ উগ্র মেজাজের, চলাফেরা খুব খারাপ। একটি ছেলের সাথে সে পরকীয়ায় আসক্ত। এনিয়ে তাদের সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। প্রায় একবছর ধরে সালমা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ফোনে কথা বলেই যেত। গত ৮ আগস্ট সকালে একটি শালিশ বৈঠকে সালমা সরাসরি বলে, ‘আমি এখানে সংসার করবো না। আমি একটি ছেলেকে ভালোবাসি। তাই আমি চলে যাচ্ছি। আর ফিরবো না।’ এই বলে সে তার বাবার বাড়ি তৈলকুপ গ্রামে চলে যায়। এরপর থেকে তার সাথে আমাদের আর কোনো যোগাযোগ নেই। কিন্তু গত মঙ্গলবার সকালের কোনো এক সময় সালমা তার ছেলে মিনহাজকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে চিত্রা নদীতে জাগ দেওয়া পাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে এলাকাবাসী টের পেয়ে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি আমাকে জানায়। পরিবারের লোকজন নিয়ে আমি বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হই। বিষয়টি বাঘারপাড়া থানায় জানালে পুলিশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।'

জানতে চাইলে বাঘারপাড়া থানার এসআই জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। তবে লাশের মুখ ও পেটে পানি পাওয়া যায়নি। শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এটা পরিকল্পিত হত্যা কি না এই মুহূর্তে বলা যাবে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

ত‌বে অভিযুক্ত সালমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

যোগাযোগ করা হ‌লে স্থানীয় ইউ‌পি সদস্য দিলু পাটোয়ারী বলেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। গতকাল সন্ধ্যায় বাঘারপাড়া থানার ওসি ফোনে আমার কাছে ঘটনা জানতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু যেহেতু আমি কিছু জানি না, তাই ওসি-কে কোনো সহযোগিতা করতে পারিনি।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/আগস্ট ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর