thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

শেয়ারবাজারে এবি ব্যাংকের ৬ শতাংশ বিনিয়োগ কমেছে

২০১৭ আগস্ট ১৭ ১৩:১০:৩৯
শেয়ারবাজারে এবি ব্যাংকের ৬ শতাংশ বিনিয়োগ কমেছে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানিতে এবি ব্যাংকের প্রায় ২৩ কোটি টাকার বা ৬ শতাংশ বিনিয়োগ কমেছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকটির শেয়ারবাজার থেকে ক্যাপিটাল গেইন বেড়েছে ১২৫ শতাংশ। তবে সঞ্চিতিজনিত ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার কারণে ব্যাংকটির প্রায় ৪০ কোটি টাকার মুনাফা কমেছে।

ব্যাংকটির ২০১৭ সালের অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানিতে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরে এবি ব্যাংকের ৪০৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনা ছিল। যা চলতি বছরের ৩০ জুন কমে দাড়িয়েছে ৩৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায়। এ হিসাবে ৬ মাসের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে এবি ব্যাংকের বিনিয়োগ কমেছে ২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বা ৬ শতাংশ।

এদিকে চলতি বছরের ৩০ জুনে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য আবেদন করা বিভিন্ন কোম্পানিতে এবি ব্যাংকের বিনিয়োগ রয়েছে ২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার। যা ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরও একই পরিমাণ ছিল।

ব্যাংকটি বিনিয়োগ কমে আসলেও চলতি বছরের ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন) ক্যাপিটাল গেইন বেড়েছে। এ সময় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে ১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ক্যাপিটাল গেইন হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। যাতে আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির ক্যাপিটাল গেইন বেড়েছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ১২৫ শতাংশ।

ব্যাংকটির চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৫৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৯৯ কোটি ২২ লাখ টাকার। এ হিসাবে মুনাফা কমেছে ৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার বা ৪০ শতাংশ।

মূলত প্রদত্ত ঋণ থেকে সুদজনিত আয় হ্রাস ও ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি বেড়ে যাওয়ার কারণে চলতি বছরের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে ডেফার্ড টেক্সজনিত আয় বৃদ্ধি না পেলে, ব্যাংকটির মুনাফা তলানিতে নেমে যেত।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে এবি ব্যাংকের সুদজনিত আয় হয়েছে ৮৯৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১ হাজার ৭০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এ হিসাবে ব্যাংকটির সুদজনিত আয় কমেছে ১৭২ কোটি ৫২ লাখ টাকা বা ১৬ শতাংশ।

অপরদিকে ব্যাংকটির চলতি বছরের ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন) প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতিজনিত ২৩৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১০৫ কোটি ৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছরের ৬ মাসে সঞ্চিতিজনিত ১৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বা ১২৬ শতাংশ বেড়ে বেড়েছে।

এদিকে এবি ব্যাংকের ডেফার্ড টেক্সজনিত আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের ৬ মাসে ব্যাংকটির ডেফার্ড টেক্সজনিত ৯৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এতে নিট কর সঞ্চিতি করতে হয়েছে ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। যা আগের বছরে ৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ডেফার্ড টেক্স আয় পরবর্তী ৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট কর সঞ্চিতি করতে হয়েছিল।

২০১৭ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তার (সিইও) বেতন ও ফিবাবদ ৩৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ হিসাবে ব্যাংকটির সিইও’র বেতনাদি কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মসিউর রহমান চৌধুরী।

উল্লেখ্য ৬৭৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের এবি ব্যাংকে নিট ২ হাজার ৪৬৪ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে। বুধবার (১৬ আগস্ট) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িয়েছে ২০.৯০ টাকায়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/আগস্ট ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর