thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

তদবীরে বিদেশ যেতে না পেরে মাজারের খাদেমকে হত্যা

২০১৭ আগস্ট ১৭ ১৮:৪৪:০৭
তদবীরে বিদেশ যেতে না পেরে মাজারের খাদেমকে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে তদবীর করে বিদেশ যেতে না পেরে মাজারের খাদেমকে গলা কেটে হত্যা করেছে ২ ঘাতক। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার ২ নং নদনা ইউনিয়নের হাটগাও গ্রামের আফজল শাহ মাজার শরীফে। এসময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে ২ ঘাতককে ছোরাসহ পুলিশে সোপার্দ করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার ২ নং নদনা ইউনিয়নের হাটগাও গ্রামের আফজল শাহ মাজার শরীফে বিগত ৫ বছর পূর্বে খাদেম হিসেবে যোগদান করেন শরীয়তপুর জেলার সদর থানার হবিপুর গ্রামের মোহসেন হাওলাদারের ছেলে সোনা মিয়া হাওলাদার (৭০)। তাকে প্রতি মাসে বেতন দেওয়া হতো ৮ হাজার টাকা। মাজারের পাশে একটি ঘরে তার স্ত্রী নিলুফা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন। সে ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায় আসা-যাওয়া করতেন। এ মাজারে থেকে তিনি বিভিন্ন রোগ সারিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে লোকজন থেকে টাকা পয়সা নিতেন বলে জানা যায়। পার্শ্ববর্তী শাকতোলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ইলিয়াছ (২৩) স্থানীয় নদনা বাজারে কমপিউটার দোকান দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছিল। সে কাতার যেতে বিভিন্নরকম চেষ্টা করে একসময় হাটগাও গ্রামের আফজল শাহ মাজার শরীফের খাদেম সোনা মিয়া হাওলাদারের শরণাপন্ন হয়। সে বিদেশ যেতে বিগত ২ মাস ধরে মাজারে এসে প্রায় সময় মোমবাতি কিনে জালাতেন ও খাদেমকে কয়েক ধাপে টাকা দেন। গত বুধবার দিবাগত রাত ৭টার দিকে ইলিয়াছ ও তার সহযোগী একই গ্রামের দুলাল মিয়ার পুত্র সুজনকে (২৫) নিয়ে মাজারে যায়। সেখানে গিয়ে খাদেম সোনা মিয়া হাওলাদারকে বলেন, আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে টাকা দিয়ে আসছি। আমার কেন বিদেশ যাওয়া হচ্ছে না। এই বলে মাজারের পিছনে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে খাদেম সোনা মিয়া হাওলাদারকে গলা কেটে হত্যা করে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ধাওয়া করে ঘাতক ইলিয়াছকে আটক করে। পরে রাত ১১টার দিকে অন্য ঘাতক সুজনকে মাজারের পাশে জালাল পিয়নের বাড়ি থেকে আটক করে।
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ ২ ঘাতককে আটক করে ও লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.কে.এম জহিরুল ইসলাম ও চাটখিল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদুল আলম রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আফজাল শাহ মাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় হাটগাও গ্রামের মৃত ছেরাজল হকের ছেলে শামছুদ্দোহা মজনু জানান, ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে ২ জনকে বিবাদী করে নিহতের স্ত্রী নিলুফা বেগম সোনাইমুড়ী থানায় বৃহস্পতিবার সকালে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি ইসমাইল মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক ২ হত্যাকারী জবানবন্দী দিয়েছে। তারা বলেছে তদবীরে কাজ না হওয়ায় মাজারের খাদেমকে হত্যা করেছে। আটকদের বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।
(দ্য রিপোর্ট/এপি/আগস্ট ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর