জামালপুরে যমুনার পানি ১০২ সেন্টিমিটার উপরে

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে যমুনা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টা নাগাদ বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যমুনার পানি কিছুটা কমলেও জেলার সাত উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৬ লাখ মানুষ এখনো চরম পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

যমুনার পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরামসহ শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বকশীগঞ্জ উপজেলার ৬টি ও জামালপুর সদরের ৫টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

সরিষাবাড়ির স্থল এলাকায় তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়ক বাঁধ ২০ মিটার এলাকায় ভেঙ্গে সরিষাবাড়ী উপজেলার বিস্তীর্ণ গ্রামগুলোতে হুহু করে বন্যার পানি প্রবেশ করছে এবং নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে পানির প্রবল তোড়ে বাধটি ভেঙ্গে যায়। বাধটি রক্ষায় সেনাবাহিনীর একটি টিম কাজ করছে।

এদিকে গত সোমবার রাত ৯টা থেকে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রেলপথের দুরমুঠ রেলষ্ট্রেশন থেকে শুরু করে ইসলামপুর উপজেলার বুরুঙ্গী বিল এলাকা পর্যন্ত বন্যার পানিতে রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় ওই পথে ট্রেন চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে।

দ্য রিপোর্ট টয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর রেলস্টেশন মাস্টার আমিনুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জামালপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুর-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি পর্যন্ত সকল প্রকার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

জেলা কৃষিবিভাগ সূত্র জানায় বন্যার পানির নিচে তলিয়ে আছে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল। বন্ধ রয়েছে এক হাজার ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঘরে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে দুর্গত এলাকায় হাহাকার বিরাজ করছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী অপ্রতুল।

জামালপুরের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৫৫ মে.টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাতে তৈরি শুকনো রুটি ও গুড় বিতরণ শুরু হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/আগস্ট ১৮, ২০১৭)