thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৮ শাওয়াল 1445

২১ আগস্টের পর সহিংস হয়ে উঠেছে রাজনীতি

২০১৭ আগস্ট ২১ ১৩:০৪:১৩
২১ আগস্টের পর সহিংস হয়ে উঠেছে রাজনীতি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে দল দুটি সহিংস রাজনীতিতে জড়িত হয়ে গেছে।

মুলতঃ ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট, ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের একটি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার পরই রাজনীতি এতটা সহিংস রুপ নিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতি বিশ্লেষক ও সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর এমনটাই মনে করছেন।

ওই হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতা সেদিন অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও ২৪ জন নিহত হন।

আহত হন ৪’শতও বেশি নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।

শুরু থেকেই এ হামলার জন্য প্রতিপক্ষ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বকেই দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ।

তবে ২০০৮ সালে আদালতে দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয় যাতে বিএনপি সরকারের একজন উপমন্ত্রী, তার ভাইসহ ২২ জনকে এ ঘটনার জন্য আসামী করা হয়।

পরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকতর তদন্ত হয়। এ তদন্তের পর আসামী করা হয় বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও ৩০ জনকে।

বিএনপির তরফ থেকে বরাবরই এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা হচ্ছে।

অর্থাৎ এ ঘটনায় দল দুটির মধ্যে বিরোধ আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু সেটা কতটা? সেটি কি দল দুটির মধ্যে যে কোন ধরনের আপোষ বা সমঝোতার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে?

সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমানুল্লাহ কবীর বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বলছিলেন। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে বিরোধ থাকবে, এক দলের সঙ্গে আরেক দলের মতবিরোধ থাকবে। কিন্তু এটা যে সহিংস পর্যায়ে পৌঁছবে এইটা কিন্তু আশা করা যায়নি।’

"একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার পর এটা কিন্তু এটা সহিংস পর্যায়ে চলে গেছে। এখন যে পরস্পরের বিরুদ্ধে পরস্পর যে অভিযোগ করছে এটার মীমাংসা আমি সহজে কোথাও দেখছি না। আর এর মীমাংসা না হলে সমঝোতাও হবে বলে মনে হয় না"।

‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যেকানে সহিংসতা রাজনীতিতে জড়িত হয়ে গেছে। এই যে সহিংসতা রাজনীতিতে, তারা এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে কোনো পর্যায়ে চলে যেতে পারে’ বলেন আমানুল্লাহ কবীর।

মি. কবীর আরো বলেন ‘যারা তখন ক্ষমতায় ছিল তাদের ওপর গ্রেনেড হামলার দায়টা বর্তায়। আর এই দায় বিএনপির ওপর বর্তায় এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

‘দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্রে প্রভাব পড়বে, দেশ ও দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। একটা অস্থিতিশীলতা সবসময় থেকে যাবে।’

‘ওই হামলা নি:সন্দেহে দুই দলের সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে নিয়ে গেছে। আর যখন রায় বের হবে তখন কী হবে সেটা নিয়ে কিন্তু শঙ্কা রয়ে গেছে’ বলেন মি. কবীর। (সুত্রঃ বিবিসি বাংলা)

(দ্য রিপোর্ট/তৌমি/অগাস্ট ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর