thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালালে বিচার হবে : প্রধানমন্ত্রী

২০১৭ আগস্ট ২১ ২১:১০:৫৬
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালালে বিচার হবে : প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : উচ্চ আদালতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশকে তুলনা করার তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ সে অপচেষ্টা চালায় তাকে সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারের সম্মুখিন হতে হবে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় দেওয়া ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগ ওই শোকসভার আয়োজন করে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সামনে অস্থায়ী স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ২১ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদ, চার জাতীয় নেতা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকার দলের সমালোচনার প্রেক্ষিতে রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধরেছে। ওই সময় তিনি পাকিস্তানে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সরে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা সহ্য করা হবে না। পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র, তার সঙ্গে তুলনা কেন? সবকিছু সহ্য করা যায়, কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা আমরা সহ্য করব না। পাকিস্তানের (সুপ্রিম কোর্টের) দেওয়া রায়ের কথা বলে কেউ আমাকে হুমকি দিয়েছেন। আমি তার জন্য জনগণের কাছে বিচার চাই। কেন পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করা হলো? আমাকে এসব হুমকি দিয়ে কোনো কাজ হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়া ও এরশাদকে দেখেছি। তাই আমি জনগণের কাছে বিচার চাই, যে পাকিস্তানকে আমরা ১৯৭১ সালে পরাজিত করেছি এবং যেটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র, সেটির সঙ্গে কেন তুলনা করা হলো?’

বিচারকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, জাতীয় সংসদের সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। জনগণই এই প্রজাতন্ত্রের মালিক। সংসদ সদস্যরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন এবং প্রেসিডেন্ট প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়োগ দেন।’

তিনি আরও বলেন, সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দিয়েছে সেই ক্ষমতা তারা (বিচার বিভাগ) কেড়ে নিতে চায়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি আলহাজ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জেএসডি’র কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিশিষ্ট লেখক ইমদাদুল হক মিলনও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে এ বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত এবং ৫শ’জন আহত হয়। অল্পের জন্য শেখ হাসিনা সেদিন বেঁচে গেলেও সমাবেশ স্থলে ট্রাকের কাছে গ্রেনেড বিস্ফোরণে তাঁর কানের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/আগস্ট ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর