thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

মঞ্জুর হত্যা মামলায় নতুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১৭:৩১:০০
মঞ্জুর হত্যা মামলায় নতুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় নতুন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অধিকতর তদন্তের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি বৃহস্পতিবার আবেদন করলে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে নতুন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বিচারক খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ এ নির্দেশ দেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ হত্যা মামলাটির পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার দিন ধার্য ছিল।

বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পিপি আসাদুজ্জামান খান রচি মামলাটির পুনর্তদন্তের আবেদন করেন। তিনি আবেদনের পক্ষে শুনানিতে বলেন, ‘এ মামলায় সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। ফলে আরও অনেককে সাক্ষী করা যায়নি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য মামলাটি পুনর্তদন্ত করা প্রয়োজন।’

বিকেলে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে ২২ এপ্রিলের মধ্যে সিআইডিকে পুনর্তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।

এর আগে উভয়পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায়ের আগে বিচারক বদলি হওযায় নতুন বিচারক খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ নতুন করে যুক্তিতর্ক শোনার জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এর পর ওই বছরের ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং মৃত্যু সনদপত্র পেতে বিলম্ব হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

দীর্ঘ ১৯ বছর মামলাটি বিভিন্ন কারণে ঝুলে ছিল। বিচার চলাকালে পর্যায়ক্রমে মোট ২২ জন বিচারক বিচারিক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে ২২ জনই বিভিন্ন কারণে বদলি হয়েছেন। ২২ জানুয়ারি মামলার ২২তম বিচারক ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা দিন ধার্য করেন।

গত ২২ জানুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। এ সময় মামলার প্রধান আসামি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং বাকি দুই আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভুইঞা।

মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।

এ মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন প্রধান আসামি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এমএইচও-এমসি/জেএম/সা/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর