thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

রাখাইনের কিয়া কিউ বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা পাচ্ছে চীন

২০১৭ অক্টোবর ১৮ ০০:৩৪:১২
রাখাইনের কিয়া কিউ বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা পাচ্ছে চীন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:

বঙ্গোপসাগরে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ কিয়া কিউ গভীর সমুদ্র বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা পেতে চলেছে চীন, যা মিয়ানমারের গোলযোগপুর্ণ রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত। মায়ানমারের একজন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সেনা সমর্থিত প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সরকারের সময়ে করে যাওয়া চুক্তিতে এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারকেশুধু ১৫ শতাংশ অর্থ যোগানোর কথা বলা হয়। কিন্তু এখন মিয়ানমার সরকারের কাছে মালিকানার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৩০ শতাংশ অর্থায়ন চাইছে চীনের বৃহদায়তন বিনিয়োগ করপোরেশনসিআইটিআইসি। অপরদিকে অর্থায়ন নিয়ে আগের চুক্তিতে অনড় থাকতে চাইছে মিয়ানমার। এই প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে এখনও দুই পক্ষ সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি বলে জানাগেছে।

রয়টার্স বলছে, ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ পরিকল্পনার অংশহিসেবে যেকোনো মূল্যে মিয়ানমারের এই বন্দরের মালিকানা পেতে চায় চীন।

সিল্ক রোড ইকোনোমিক বেল্ট এবং একুশ শতকের মেরিটাইমসিল্ক রোডকে সংযুক্ত করে নেওয়া ওয়ানবেল্ট ওয়ান রোড উদ্যেগের আওতায় এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলোকে একটি বাণিজ্যিক ওঅবকাঠামো নেটওয়ার্কে সম্পৃক্ত করতে চাইছে চীন, যার মধ্য দিয়ে কার্যত প্রাচীন সিল্ক রুটকে পুনরায়ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে চীন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি আমদানিতে মালাক্কা প্রণালী এড়িয়ে বিকল্পপথ পেতে বঙ্গোপসাগরের কিয়া কিউ বন্দর চাইছে, যেখানে চীনা তেল ও গ্যাস পাইপলাইনের সূচনাবিন্দু হবে।

এই বন্দর ছাড়াও রাখাইনে একটি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন তৈরি করবে চীন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক চুক্তিতে চীনকে ৮৫ শতাংশ মালিকানা দেওয়ার কথা হয়েছিল। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আপত্তির কারণে এখন তা কমিয়ে ৭০ শতাংশ করা হয়েছে।

মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের সামরিক সরকার চীনের মদদ পেয়ে আসছিল বলে পশ্চিমাদের অভিযোগ। এখনদেশটিতে গণতন্ত্র ফিরলেও সেনা নিয়ন্ত্রণ রয়ে গেছে অনেকাংশে।

রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে পশ্চিমারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সমালোচনামুখর হলেও চীন সেই পথে নাহেঁটে বিষয়টি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে দেখছে।

মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে ওই প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বে থাকা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও মং রয়টার্সকে বলেন, আনুমানিক ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ওই গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ নিয়ে চীনের সিআইটিআইসি গ্রুপের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনায় শেয়ার বাড়ানোর চেষ্টা করছে মিয়ানমার। গত সেপ্টেম্বরে এই বিষয়ে চুক্তি হয়।

নতুন প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্টহেনরি ভ্যান থিওর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে ও মং জানান।

এই প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে এখনও দুই পক্ষ সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি বলে জানান তিনি।

চীনের বৃহদায়তন বিনিয়োগ করপোরেশন সিআইটিআইসি কাছেএ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তাতে সাড়া মেলেনি।

সিআইটিআইসি মিয়ানমার’র নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ইউয়ান শাওবিনের একটি সাক্ষাৎকার সোমবার মিয়ানমার টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি ওই কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ারের কথা বলেছেন। অর্থায়ন নিয়ে সিদ্ধান্তে আরও আলোচনা দরকার বলেজানিয়েছেন তিনি।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সিআইটিআইসি গ্রুপ কিয়া কিউ বন্দরের ৭০থেকে ৮৫ শতাংশ মালিকানার প্রস্তাব করেছে বলে গত মে মাসের রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর