কুয়েট ভর্তি যুদ্ধ কাল : হোটেলে আসন সঙ্কট

খুলনা ব্যুরো : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (২০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুয়েটসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে একসঙ্গে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩টি অনুষদের ১৪টি বিভাগে মোট ১ হাজার ৫ টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৪৭৭ জন।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অনলাইনের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ১০ হাজার ৫০০টি আবেদনের মধ্যে বৈধ ১০ হাজার ৪৭৭ জন আবেদনকারীর সবাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে।

আর এই কারণে খুলনার কোন আবাসিক হোটেল গেস্ট হাউসে আসন নাই। একই ভাবে খুলনা থেকে বিভিন্নমুখী ট্রেন বা বাসের টিকিট এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে।

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার জানান, ভর্তি পরীক্ষা কুয়েট ক্যাম্পাস (১০০০১-১৮২৮২), টিচার্স ট্রেনিং (টিটি) কলেজ (১৮২৮৩-১৯০৩২), এইচএসটিটিআই (১৯০৩৩-১৯৩৩২), টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, বয়েজ (১৯৩৩৩-১৯৯৭৭) ও টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, মহিলা (১৯৯৭৮-২০৪৭৭) এ অনুষ্ঠিত হবে।

এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগে ১২০ জন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে ১২০ জন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগে ১২০ জন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ১২০ জন, ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগে ৬০ জন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগে ৬০ জন, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং (এলই) বিভাগে ৬০ জন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) বিভাগে ৬০ জন, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং (ইউআরপি) বিভাগে ৬০ জন, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট (বিইসিএম) বিভাগে ৬০ জন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগে ৩০ জন, আর্কিটেকচার (আর্ক) বিভাগে ৪০ জন, ম্যাটেরিয়ালস্ সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (এমএসই) বিভাগে ৬০ জন, এনার্জি সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগে ৩০ জন এবং সংরক্ষিত ৫টি আসনসহ সর্বমোট ১০০৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্যাবলী কুয়েট এর ওয়েবসাইটে (www.kuet.ac.bd) পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, ভর্তি পরীক্ষার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ছাত্র/ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা খুলনায় আসবেন। এজন্য খুলনা নিম্নমানের আবাসিক হোটেল থেকে তিন তারাকা হোটেল বা গেস্ট হাউসে শুক্রবার, শনিবার ও রবিবারের কোন আসনই নাই। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা ২০/২৫ দিন আগেই এসব হোটেলে বুকিং সম্পান্ন করেছেন।
মহানগরীর কেন্দ্রস্থল জলিল টাওয়ারের জালিকো হোটেলের প্রধান নির্বাহী কামরুল ইসলাম জানান, এই তিন দিনের সিট আগেই বুকিং করায় তারা আর নতুন অতিথি নিতে পারছেন না।

তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অনেক আবাসিক হোটেল এই সুযোগে তাদের ভাড়া দ্বিগুণ করে দিয়েছে।

খুলনা রেল ষ্টেশন ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম মোল্লা জানান, শবিবার ঢাকা মুখী ট্রেনের টিকিটের চাহিদা সব থেকে বেশি । একই ভাবে রাজশাহীগামী ট্রেনের একই চিত্র । কারণ শুক্রবার কুয়েটের পরীক্ষা শেষের পর রবিবার রাজশাহীর পরীক্ষা রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১৯, ২০১৭)