নাইকোর আপিল শুনানি ৩ সপ্তাহের মুলতবি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডিয় কোম্পানি নাইকোর যৌথ উদ্যোগে করা চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি আরও ৩ সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম ও মঈন গনি এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এ ছাড়া নাইকোর পক্ষে আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর ও পেট্রোবাংলার গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে গত ২৪ আগস্ট রায় দেয় হাইকোর্ট। এ রায়ের বিষয়ে আপিল করেন নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটিড। আজ (বৃহস্পতিবার) বিষয়টি শুনানির জন্য ধার্য ছিল।

হাইকোর্ট রায়ে পেট্রোবাংলার নাইকোর গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে আদালত। সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে ২০০৫ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে নাইকোর সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

নিম্ন আদালতে নাইকোর বিরুদ্ধে বিচারাধীন দুর্নীতি ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত দুটি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর শুনানি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে দুটি চুক্তি করে বাপেক্স ওপেট্রো বাংলার। চুক্তির একটি ছিল বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে (জয়েন্ট ভেনচার) কাজের চুক্তি। গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে অন্য চুক্তিটি হয়েছিল।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৯ মে হাইকোর্ট বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ চুক্তি কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে। একই সঙ্গে আদালত ওই চুক্তির কার্যকারিতাও স্থগিত করেছিল। রিটের রেসপনডেন্ট (প্রতিপক্ষ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং নাইকো কানাডা ও নাইকো বাংলাদেশকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

নাইকোর সঙ্গে করা চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১৯, ২০১৭)