thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ছাড়পত্র পাচ্ছে না ‘হৃদয়ের রংধনু’

২০১৭ অক্টোবর ২১ ১৩:৫১:৪৩
ছাড়পত্র পাচ্ছে না ‘হৃদয়ের রংধনু’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আপত্তির কারণে সেন্সর ছাড়পত্র পাচ্ছেনা ‘হৃদয়ের রংধনু’ ছবিটি।

ছবির নির্মাতা এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সাথে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তিমতে ছবিটিতে দৃশ্যধারণ করা হয়নি বলে ছবিটির ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছেনা। ফলে দশ মাস যাবৎ ছবিটি সেন্সর বোর্ডে পড়ে আছে।

‘হৃদয়ের রংধনু’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন চিত্রপরিচালক রাজীবুল হোসেন। এই ছবিতে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তারুণ্যের শক্তিকে। নির্মাতার দাবি, অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ‘হৃদয়ের রংধনু’তে বাংলাদেশের নৈসর্গিক বিভিন্ন লোকেশন দেখানো হয়েছে।

শুটিংয়ের সময় ছবির কিছু দৃশ্য দেখে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর প্রযোজকের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। এরপর শুটিং শেষে মুক্তির অনুমতি চেয়ে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হলেও দশ মাস ধরে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেনা ‘হৃদয়ের রংধনু’।

ছাড়পত্র না পাওয়ার বিষয়ে সেন্সর সচিব জালাল উদ্দিন মুন্সি বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে হাইলাইট করার জন্য ছবিতে পর্যটন কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নেয়া হয়েছে এবং কর্পোরেশন অর্থলগ্নি করেছে। কিন্তু ছবি শেষ করার পর সেন্সর বোর্ড ছবি দেখে মনে করছে ছবিতে যা দেখানো হয়েছে কিছু দৃশ্য পর্যটন শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।

‘সেন্সর থেকে আমরা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। তারাও আপত্তি জানিয়েছিলেন। পর্যটন কর্তৃপক্ষের মতামত নিয়েই কিছু দৃশ্য সংশোধন করে পুনরায় জমা দিতে বলা হয়েছিল। সংশোধন করে পুনরায় জমা পড়লে সেন্সর যেসব অংশ পরিবর্তন করতে বলেছে, মূল জিনিসটা পরিবর্তন হয়নি।’

সেন্সর সচিব আরও বলেন, ‘এরপর আবারও নির্মাতাকে তলব করে জানানো হয় দৃশ্যের পরিবর্তনের জন্য। মোট দুইবার ছবিটি সেন্সরে দেখা হয়েছে। এবার আবার পরিবর্তন করার পর সেন্সর বোর্ড সঠিক মনে করলে তখন সেন্সর ছাড়পত্র পাবে ‘হৃদয়ের রংধনু’।’

এদিকে, সাড়ে পাঁচ মিনিটের দৃশ্য কাটার পরও একাধিকবার সেন্সর থেকে ফিরে আসার পর ছবির পরিচালক রাজীবুল হোসেন সম্প্রতি লিখিত চিঠি দিয়েছেন তথ্য সচিবকে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে আপনার বুদ্ধি-বিত্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ছবিটির সেন্সর ছাড়পত্র প্রদান করে সুবিচার করবেন।

নির্মাতা রাজীবুল হোসেন বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের আদেশে কিছু দৃশ্য কারেকশন করেছি। যেগুলো কারেকশন করা সম্ভব হয়নি সেগুলো লিখিতভাবে জমা দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, নির্মাতা রাজীবুল হোসেন ২০১৪ সালের নভেম্বরে ‘হৃদয়ের রংধনু’র শুটিং শুরু করেন। ঢাকা, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ ও বান্দরবানসহ বাংলাদেশের মোট ৫৪টি জেলায় এ ছবির দৃশ্যায়ন হয়েছে। এই ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামস হাসান, মুহতাসিম স্বজন, খিং সাই মং মারমা ও একমাত্র নারী সার্বিয়ার নাগরিক মিনা পেতকোভিচ। ছবিটি প্রযোজনা করছে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বাংলাদেশ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর