মৃত্যুঞ্জয়ী কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
[সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম-১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এবং মৃত্যু ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসাবে অসংখ্য স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তাঁর কবিতার বহু পংক্তি সাধারণ মানুষের মুখস্থ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় "নীললোহিত", "সনাতন পাঠক" ও "নীল উপাধ্যায়" ইত্যাদি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম অধুনা বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলায়। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ একা এবং কয়েকজন এবং ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম উপন্যাস আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হল আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি, যুগলবন্দী (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), হঠাৎ নীরার জন্য, রাত্রির রঁদেভূ, শ্যামবাজারের মোড়ের আড্ডা, অর্ধেক জীবন, অরণ্যের দিনরাত্রি, অর্জুন, প্রথম আলো, সেই সময়, পূর্ব পশ্চিম, ভানু ও রাণু, মনের মানুষ ইত্যাদি। শিশুসাহিত্যে তিনি "কাকাবাবু-সন্তু" নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা। কবির মৃত্যুদিবস উপলক্ষে বর্তমান নিবন্ধটি পত্রস্থ করা হলো। বি.স]
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের বরপুত্র। দুই বাংলায় রয়েছে তাঁর সমান খ্যাতি। কাব্য এবং গদ্যচর্চার ক্ষেত্রে সুনীল সমান পারদর্শী। সাহিত্যের সবস্তরে তিনি তাঁর অনবদ্য দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন সফলভাবে। দুই শতাধিক গ্রন্থের জনক সুনীল গাঙ্গুলী নীল লোহিত কিং বা সনাতন পাঠকের আড়ালে তাঁর নিপুণ কলমের ব্যবহার ঘটিয়েছেন।
রাজনৈতিক কলাম, মুন্সীয়ানা প্রবন্ধ রচনা করে তিনি বিপুল পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। মাত্র চার বছরে বয়সে তিনি বাবার চাকরির কারণে বাংলাদেশের মাদারীপুর থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। বেড়ে ওঠেন। সাহিত্য জগতে সম্রাটের মত আবির্ভূত হন। তাঁর সাহিত্যখ্যাতি দুইবাংলায় সমান মহিমায় আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ে। সুনীল ছিলেন অদম্য অক্লান্ত আড্ডাবাজ মানুষ। দুই বাংলার লেখকদের সাথে ছিল তাঁর অভিন্ন সখ্য। তিনি বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষাকে তার হৃদয়ের দুই ভাগে পরিপূর্ণভাবে স্থান দিয়েছিলেন। তিনি বাংলা ছেড়ে মাত্র এক বছর প্রবাসী হয়ে স্বদেশের টানে ফিরে এসেছিলেন। সুনীল ছিলেন খুবই অতিথিপরায়ণ, সৌজন্যপ্রবণ মানুষ। সুনীল যেমন ছিলেন কবিতায় উজ্জ্বল তেমনি ছিলেন গল্পে উপন্যাসে আলোকিত লেখক। সমকালীন বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদ পুরুষ সব্যসাচী লেখকের অভিধায় ভুষিত। তার লেখালেখি শুধু সাহিত্য নির্ভর ছিল না। আনন্দবাজার পত্রিকা তার সত্যনিষ্ঠ কলমী শক্তিতে সমৃদ্ধ হয়েছে। নতুন কবি, লেখকদের তার কবিতা প্রণোদনা জুগিয়েছে। শুধু কবি সাহিত্যিক নয় প্রেমিক প্রেমিকারা সুনীলের কবিতার মাধ্যমে তাদের ভাব প্রেমাবেগ প্রকাশ করেছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘নীরা’ নারী জাতির মধ্যে নানাভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রেমিকেরা তাদের প্রেমিকাদের মধ্যে নীরাকে খুঁজে পেয়েছেন। সুনীলের কবিতার মূল্যবান লাইন অনেক সময় গল্পকারদের গল্পের শিরোনাম হয়েছে। ব্যক্তিগত অনুভূতির জায়গা থেকে তিনি যেসব কবিতা লিখেছেন সেসব কবিতা তার নিজস্ব জীবন ছাপিয়ে সমকালকে স্পর্শ করেছে। অসাধু রাজনীতিকদের প্রতারণা, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি কথা না রাখার কথা ইত্যাদি বিষয় তার কবিতায় প্রযোজ্য হয়েছে। তিনি পশ্চিম বঙ্গো থেকে প্রায়ই স্বদেশের মায়ায় ছুটে আসতেন বাংলাদেশে। এখানকার মানুষদের ভিড়ে মিশে যেতেন। তার আপন ভুবনে অন্তরঙ্গ আড্ডায় মেতে উঠতেন। তার ভালবাসার বিষণ্ন আলোর বাংলাদেশকে দু’চোখ ভরে দেখতেন। ভালবাসার টানে ফিরে যেতেন শৈশবের সেই গ্রামে। সুনীল একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশর মমতা মাখা ভুবনে স্থায়ীভাবে থেকে যাবেন। তিনি প্রয়োজনে মৃত্যুকে বেছে নিতে চেয়েছেন কিন্তু বাংলা থেকে নির্বাসিত হতে চাননি। বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কবিতার মাধ্যমে বাঙালি জাতির মনের কথা বলে মনের মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি যখন তার মন খারাপ হওয়ার কথা কবিতায় ব্যক্ত করেছেন, পাঠক তখন অবাক বিস্ময়ে নিজের মন ভালো না থাকার অনুভূতিকে উপলব্ধি করেছেন। অর্থাৎ পাঠককুল নিজের অনুভূতি সুনীলের কবিতায় অনুরণিত হতে দেখেন। কিংবা ধ্বংসের
মধ্যদিয়ে ভালো কিছু নির্মাণের ভাবনায় পাঠকদের তিনি উদ্ধুদ্ধ করেছেন। উদ্ধৃতি দেয়া যেতে পারে-
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
এখন আমার ওষ্ঠে লাগে না কোনো প্রিয় স্বাদ
এমনকি নারী এমনকি নারী এমনকি নারী
এমনকি সুরা এমনকি ভাষা
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
বিকেল বেলায় একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে
একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে পথে ঘুরে ঘুরে
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না কারুকে চাইনি
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না
আমিও মানুষ আমার কী আছে অথবা কী ছিল
আমার কী আছে অথবা কী ছিল
ফুলের ভিতরে বীজের ভিতরে ঘুণের ভিতরে
যেমন আগুন আগুন আগুন আগুন আগুন
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
তবু দিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায় ..
(মন ভালো নেই)
এভাবে সাহিত্য অনুরাগী মানুষের অনুভূতি সুনীল তার কবিতায় তুলে ধরেন। তার ব্যক্তিগত জীবন আশা নিরাশার মিশেল স্রোতে প্রবাহিত হয় এবং এই প্রবাহমান জীবনবোধ অন্যদের জীবনে একীভুত হয়। আপাত দৃষ্টিতে আমাদের চোখ খোলা থাকলেও আমরা অনেক কিছু দেখি না। সবাই নির্বিকার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে থাকি। সমাজের অসঙ্গতি দূর করতে ভূমিকা রাখি না। মানুষের এ ধরণের প্রবৃত্তি দেখে সুনীল বিচলিত হয়েছেন। তার মন ভালো থাকেনি। আশা আর স্বপ্নের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছেন। সুনীলের অবিশ্রান্ত লেখনীতে অনেক বৈচিত্র্যময় বিষয়ের পাশাপাশি এ ধরণের বিষয় ধরা পড়েছে। সুনীল ছিলেন খুবই পরিশ্রমী লেখক। তার কবিতা এবং গদ্যে কোনো আলস্যময়তা চোখে পড়ে না। তার জনপ্রিয়তা প্রচুর। তিনি তার অমিত শক্তিধর লেখনীর মাধ্যমে মানুষের মনের মানুষ ও প্রাণের লেখক হয়ে গিয়েছিলেন। তার সত্তর বছরের জন্মদিনে তার কিছু ভক্তরা একটা পোস্টার প্রকাশ করেছিল । তাতে লেখা ছিল ‘এও কি সত্যিরে সুনীলদা সত্তরে’। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে ছিল চির উন্নত তারুণ্য। তিনি মন ও মননে সব সময় তরুণ ছিলেন বলেই তরুণদেরকে তিনি তার ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন। প্রাসঙ্গিক কারণে ’কীর্তিবাসের কথা এখানে উল্লেখ করা যায়। কীর্তিমান লেখক সুনীল তরুণদের মুল্যায়ন করার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রকালীন সময়ে কীর্তিবাস প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের অনেক সৃজনশীল কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল তরুণ কবি সাহিত্যিদেরকে পুরস্কৃত করা।
বলা যায় সুনীল দাপটের সাথে বাংলা সাহিত্যকে শাসন করেছেন। সাহিত্যের সব শাখাতে তিনি দীপ্ত বিচরণ করেছেন। কবি সুনীল তার প্রথম উপন্যাস 'যুবক যুবতী'র মাধ্যমে কথা সাহিত্যে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। 'যুবক যুবতী' তার প্রথম উপন্যাস গ্রন্থ।'আত্মপ্রকাশ' দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরে সেটা গ্রন্থাবদ্ধ হয়। 'যুবক যুবতী' এবং 'আত্মপ্রকাশ' প্রকাশের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, তিনি কবিতার পাশাপাশি গল্প উপন্যাস ও
গদ্যসাহিত্যে সমান দক্ষ। সুনীলের সাহিত্য পর্যালোচনা করতে গেলে দেখা যায়, গদ্যের মধ্যে নিহিত আছে কবিতার মেজাজ। এতে বোঝা যায় সুনীল মনে প্রাণে ছিলেন একজন সম্পুর্ণ কবি। প্রাসঙ্গিকভাবে তার কবিতার দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যাবে ব্যক্তিগত হতাশা প্রকট হয়ে উঠেছে কোথাও কোথাও। বন্ধুর উদ্দেশে তিনি লেখেন-
আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ
এই কী মানুষজন্ম? নাকি শেষ
পরোহিত-কঙ্কালের পাশা খেলা! প্রতি সন্ধ্যেবেলা
আমার বুকের মধ্যে হাওয়া ঘুরে ওঠে, হৃদয়কে অবহেলা
করে রক্ত; আমি মানুষের পায়ের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে
থাকি-তার ভেতরের কুকুরটাকে দেখবো বলে। আমি আক্রোশে
হেসে উঠি না, আমি ছারপোকার পাশে ছারপোকা হয়ে হাঁটি,
মশা হয়ে উড়ি একদল মশার সঙ্গে; খাঁটি
অন্ধকারে স্ত্রীলোকের খুব মধ্যে ডুব দিয়ে দেখেছি দেশলাই জ্বেলে-
(ও-গাঁয়ে আমার কোনো ঘরবাড়ি নেই!)
সুনীল তার কবিতার ক্যানভাসে জাগতিক জীবনের নানা হতাশা অপ্রাপ্তির বেদনার উচ্চারণে মানুষের পশু প্রবৃত্তি,অশুভ কামনা বৈষম্যমূলক মনোভঙ্গির চিত্র ফুটিযে তুলেছেন। একটি সুস্থ মন, সুন্দর জীবনবোধ, হারানোর বেদনা, সুন্দরকে স্বীকার করতে না পারার, ভালবাসতে না পারার অক্ষমতা অন্যের কষ্টকে অনুধাবন করতে না পারার ব্যর্থতা তাকে পীড়িত করেছে। এসব কথা চিত্রিত হয়েছে সুনীলের কবিতায়। মানুষ প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে। রাজনীতিকদের অসততা, দুর্নীতি ক্ষমতার লড়াই মাঝখানে সাধারণ মানুষ নিস্পেষিত। মিথ্যাচারিতা বেড়ে গেছে সর্বত্র। মানুষকে ঠকাচ্ছে মানুষ। মানুষের মাঝে মিথ্যে স্বপ্ন ছড়িয়ে দিচ্ছে মানুষ। মানুষের কল্যাণে রাজনীতি নেই। মানুষের জন্য মানুষ নেই। সবাই মিথ্যে বলে। স্বপ্ন দেখায়। কথা দেয়, কথা রাখে না। ব্যক্তিগত অনুভূতির জায়গা থেকে হলেও সুনীলের" কেউ কথা রাখেনি" শীর্ষক কবিতায় এই সব অনুষঙ্গের ইঙ্গিত খুঁজে পাওয়া যায়-
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?...
এভাবে নানা স্বপ্নের এবং স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনার কথা চিত্রিত হয়েছে সুনীলের বিখ্যাত এই কবিতায়। ব্যক্তিগত হতাশা প্রকাশের মধ্যদিয়ে সমাজের বৈষম্যমুলক চিত্র তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। তার এই কবিতায় লক্ষ কোটি মানুষের মনের কথা বলেছেন তিনি। সুনীলের ব্যক্তিগত অনুভব অনেক মানুষের অনুভূতিতে মিশে গেছে। সুনীল হয়ে উঠেছেন মানুষের মনের কবি। মানুষের মনের কথাই তাঁর কবিতায় বর্ণিত হয়েছে। তাঁর কবিতা অনায়াসে মন গ্রাহী হয়ে উঠেছে। সুনীলের কবিতায় প্রেম প্রবণতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তিনি প্রেমকে প্রচ্ছন্ন একটি জায়গায় দাঁড় করিছেন। তাঁর প্রেমের বাণী সততাবদ্ধ হয়েছে। সুনীলের বিবেচনায় প্রেম মানুষকে সত্যবাদী করে। মিথ্যাচারীতা ভুলিয়ে দেয়। তাঁর কবিতায় ভালবাসা সত্যবদ্ধ হয়ে ধরা পড়েছে। প্রেমের স্পর্শ সবাইকে পাপমুক্ত করে। এরকম উপলদ্ধি নিয়ে সুনীল উচ্চারণ করেন-
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
আমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি ?
শেষ বিকেলের সেই ঝুল বারান্দায়
তার মুখে পড়েছিল দুর্দান্ত সাহসী এক আলো
যেন এক টেলিগ্রাম, মুহূর্তে উন্মুক্ত করে
নীরার সুষমা
চোখে ও ভুরুতে মেশা হাসি, নাকি অভ্রবিন্দু ?
তখন সে যুবতীকে খুকি বলে ডাকতে ইচ্ছে হয়--
আমি ডান হাত তুলি, পুরুষ পাঞ্জার দিকে
মনে মনে বলি,
যোগ্য হও, যোগ্য হয়ে ওঠো--
ছুঁয়ে দিই নীরার চিবুক
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
আমি কি এ হাতে আর কোনোদিন
পাপ করতে পারি ?
এই ওষ্ঠ বলেছে নীরাকে , ভালোবাসি--
এই ওষ্ঠে আর কোনো মিথ্যে কি মানায় ?
(সত্যবদ্ধ অভিমান)
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের বিশাল জগতে সুনীল আকাশের মতো আলো ছড়িয়েছেন। দখল করে রেখেছেন এই অনন্য ভুবনকে। বিরলপ্রজ এই শক্তিমান লেখকের চিরপ্রস্থান সাহিত্যানুরাগী প্রতিটি মানুষকে নীল বেদনায় নিমজ্জিত করেছে। ভাসিয়ে দিয়েছে শোকে । সুনীলের সাহিত্য কর্ম আপন আলোয় অনির্বাণ আলো ছড়াবে এমনটাই মনে করেন তাঁর ভক্তকুলেরা।
লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক
পাঠকের মতামত:
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- বাসাবাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই জেল,জরিমানা: মেয়র
- কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
- "আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে"
- পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ট্রেন ভাড়ার ছাড় প্রত্যাহার, বাড়ছে ভাড়া
- প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- নাভানা ফার্মার পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
- মালদ্বীপের নির্বাচনে চীনপন্থী মুইজ্জার বড় জয়
- রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়ালের কাছে হারল বার্সা
- কসবা সীমান্তে ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত
- আজ থেকে ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট
- ঋণ খেলাপি চিহ্নিতে উপজেলা প্রার্থীদের তথ্য চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সংশোধিত ফল প্রকাশ
- খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি ২৯ জুলাই
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত, তিনদিনের হিট আ্যালার্ট
- পতনের ধারা থেকে সরানো যাচ্ছে না পুঁজিবাজারকে
- মাধবদীতে হিট স্ট্রোকে এক যুবকের মৃত্যু
- ১৯ দিনে রেমিট্যান্স ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি
- তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
- উপজেলা নির্বাচনও সংসদ নির্বাচনের মতো হবে: ইসি আলমগীর
- ফের সোনার দাম বাড়ালো বাজুস
- তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিফ হিট অফিসারের
- বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: কাদের
- একের পর এক দেশ বিরোধী কাজ করছে সরকার: রিজভী
- দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: প্রধানমন্ত্রী
- মিনিস্টারের শত কোটি টাকার ঈদ উপহার জিতে আনন্দিত ক্রেতারা
- তাপদাহ: দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- "ইসরাইল নয়, ফিলিস্তিনিরাই করবে গাজা শাসন"
- এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছাত্রলীগের
- ইসরাইলের অস্ত্র ইরানি বাচ্চাদের খেলনা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ট্রেনে বাঁ পায়ের সব আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বাড়লো
- সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- এবারও বোরো মৌসুমে ধান ও চাল কিনবে সরকার
- কারসাজি চক্রের প্রভাবে সূচকের পতন, কঠোর অবস্থানে বিএসইসি
- টেকনো ড্রাগসের বিডিং শুরু আজ
- নয় মাসে ইবনে সিনার মুনাফা বেড়েছে
- পূবালী ব্যাংকের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শুরু হয়েছে অস্বাভাবিক আর্থিক প্রতিবেদনের কোম্পানি ক্রাফটম্যানের কিউআইও আবেদন
- ইসলামী ব্যাংকের ময়মনসিংহ জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- আসাম থেকে বাংলাদেশে আসছে মাসডো এর একটি বিশেষজ্ঞ টিম
- ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট
- ধোনির রেকর্ড ভেঙ্গে তাঁকে টুপি খোলা শ্রদ্ধা রাহুলের
- এই অবৈধ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে: রিজভী
- ইরান- ইসরাইল উত্তেজনা: স্থায়ী সংঘাতের সতর্কতা তুরস্কের
- ইসরায়েলকে শত কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে: বেনজীর
- ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার কারন জানালো বিএসসিপিএলসি
- হজযাত্রীদের স্বস্তি দিতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
- প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- ঈদ যাত্রায় সড়কে প্রাণ গেলো ৪০৭ জনের
- "উপজেলা নির্বাচনের সময় আ.লীগের সব কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ"
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
- শিশু হাসপাতালের ভবনে আগুন
- থার্ড টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা বাস, নিহত ইঞ্জিনিয়ার
- ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
- ইসফাহান শহরে ইসরায়েলের হামলা, ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করেছে ইরান
- জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র
- জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র
- ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা সরাসরি অস্বীকার ইরানের
- মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ১৩ বিজিপি সদস্য
- দুদিনের সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির
- ঈদের পরে সবজির বাজার চড়া, ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা
- ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
- সারাদেশে তিন দিনের হিট এলার্ট জারি
- বাংলাদেশে যত অপরাধ হয়, তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদেরও প্রার্থী হতে নিষেধ আ.লীগের
- বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো ৪ টাকা
- গণতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্র কত ধাপ পিছিয়েছে, পিটার হাসকে প্রশ্ন কাদেরের
- অস্বাভাবিক আর্থিক প্রতিবেদনের ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের কিউআইও আবেদন শুরু রোববার
- বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রাজনীতি করে না: কাদের
- শিগগিরই অনলাইন নিউজপোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
- এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছাত্রলীগের
- আসাম থেকে বাংলাদেশে আসছে মাসডো এর একটি বিশেষজ্ঞ টিম
- টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান
- স্পেশালাইজড প্রোডাক্ট রয়েছে টেকনো ড্রাগসের, বিডিং শুরু রোববার
- ইরান-ইসরায়েল: সামরিক শক্তিতে এগিয়ে কারা?
- উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি
- ফের পতনের ধারায় পুঁজিবাজার
- এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু
- শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়লো
- পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- পালিয়ে বাংলাদেশে বিজিপির আরো ৫০ সদস্য
- ভারতের গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারালো বাংলাদেশের মনন
- বিশ্বকাপ নিয়ে প্রত্যাশা করার দরকার নেই: শান্ত
- ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- গুজব উড়িয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন হাথুরুসিংহ
- নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: ডিএমপি
- জিডিপি কমার পূর্বাভাস আইএমএফের
- তাপপ্রবাহের মধ্যে রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি
- লিটারে ১০ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম