thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

‘পুলিশের নির্যাতনে’ আসামির মা হাসপাতালে

২০১৭ নভেম্বর ১৬ ১৮:৪৬:৫৮
‘পুলিশের নির্যাতনে’ আসামির মা হাসপাতালে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আসামি ধরতে গিয়ে নারীদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এসআই’র বিরুদ্ধে। পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়ে একজন বৃদ্ধা নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার ঘোপপাড়া গোরিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে অভিযুক্ত পুলিশের এসআই বিকাশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঘোপপাড়া গ্রামের সামছুদ্দিন স্ত্রী সালেহা বেগম জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বিকাশ ও আইসি আজাহারের নেৃতত্বে পুলিশ তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় তার ছেলে কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান টিপু সুলতানকে আটক করে। তাকে আটকের কারণ জানতে চাইলে তাকে ও টিপুর স্ত্রী জোসনাকে লাথি মারে পুলিশ। এ ছাড়া চড় থাপ্পড় ও কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন পুলিশের এসআই বিকাশ ।

টিপুর স্ত্রী জোসনা ও বোন জামাই রকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাতে পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়ে টিপুকে আটক করে। এ সময় বাড়ির লোকজন কারণ জানতে চাইলেই পুলিশ মারপিট ও লাথি মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা টিপুকে নিয়ে চলে আসে। সে সময় তারা টিপুকেও নির্যাতন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় টিপুর মা সালেহা বেগমকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান সোহাগ জানান, রাতে সালেহাকে ভর্তি করেন তার স্বজনেরা। তার শরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আহত সালেহার স্বজনেরা অভিযোগ করেছিলেন তাকে পুলিশে নির্যাতন করেছে যার কারনে এটি পুলিশ কেস হিসেবে হাসপাতালের খাতায় লেখা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত বারবাজার পুলিশ ফাড়ির এসআই বিকাশ জানিয়েছেন, রাতে ঘোপপাড়া গ্রামে মাদক মামলার আসামি টিপু সুলতানকে আটক করতে যায। টিপু একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আটকের সময় পরিবারের লোকজন পুলিশের কাজে বাধা দেয়। তবে পুলিশ কোন নারীকে নির্যাতন করা হয়নি।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘আটক টিপু সুলতান এলাকার চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী। রাতে পুলিশ তাকে আটক করেছে। তবে পুলিশের নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন এমন কোন নারী বা ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দেয়নি। আমরা অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।’

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১ নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে কালীগঞ্জ থানার এসআই কওছার আলী কাশিপুর গ্রামের শুকুর আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় গৃহবধূ চালিতা বেগমকে ওই দারোগা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ফাসিয়ে দেওয়া হুমকি দেয়। প্রতিবেশী শতাধিক নারী-পুরুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দারোগা কওসার আলমকে ধাওয়া করলে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর গ্রামের অসংখ্য নারী-পুরুষ কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কে এসে ঝাঁটা মিছিল করে।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর