thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

যশোরে ২ চরমপন্থী নেতার ফাঁসি কার্যকর

২০১৭ নভেম্বর ১৭ ১০:০০:৪৩
যশোরে ২ চরমপন্থী নেতার ফাঁসি কার্যকর

যশোর প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার মেম্বার হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

তারা হলেন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা আবদুল মোকিম ও গোলাম রসুল ঝড়ুর।

সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। রাত সোয়া ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায় কারাগারে প্রবেশ করেন। এরপর রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে দুই আসামি মোকিম ও ঝড়ুরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত ১২টায় সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন জেল গেটে সংবাদ সম্মেলন করে দুই চরমপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ডের খবর নিশ্চিত করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত রবকুল মণ্ডলের মেঝো ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেনকে ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন একই গ্রামের বাদল সর্দারের বাড়িতে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কতিপয় চরমপন্থী কুপিয়ে হত্যা করে।

ওই দিনই নিহতের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা অহিম উদ্দীন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পর ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল এ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়।

রায়ে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দুই আঞ্চলিক নেতা দুর্লভপুরের মৃত মুরাদ আলীর ছেলে আব্দুল মোকিম ও একই গ্রামের মৃত আকছেদ আলীর ছেলে গোলাম রসুল ঝড়ুসহ তিনজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

এছাড়া দুর্লভপুর গ্রামের মৃত কুদরত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম ও আবু বক্করের ছেলে হিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। বাকি ১৬ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

পরে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করলে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির দণ্ডাদেশ মওকুফ করেন আদালত।

মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন দুইবার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি কৃতি খেলোয়াড় হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ভারতের পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি হা-ডু-ডু খেলেছেন।

মনোয়ারের স্ত্রী চায়না খাতুন জানান, বছরের পর বছর আমরা চোখের জলে বুক ভাসিয়েছি। আল্লাহ মুখ তুলে তাকিয়েছেন। তার দরবারে হাজার শুকরিয়া।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর