thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ 24, ৫ চৈত্র ১৪৩০,  ৯ রমজান 1445

শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আ. লীগের সমাবেশ শুরু

২০১৭ নভেম্বর ১৮ ১৩:০০:৫০ ২০১৭ নভেম্বর ১৮ ০২:৪৫:৩৪
শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আ. লীগের সমাবেশ শুরু

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো স্বীকৃতি উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ২টা ৩৯ মিনিটে তিনি সমাবেশ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উপস্থিত হয়ে হাত নেড়ে সকলকে অভিবাদন জানান। এর পর তিনি মঞ্চে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করলে ২টা ৪০ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এর মাধ্যমে মূলত সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এই নাগরিক সমাবেশে নৌকায় বসেই ভাষণ দেবেন তিনি। সভাপতিত্ব করবেন নাগরিক কমিটির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সমাবেশ শুরু হবে জাতীয় সংগীত, ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ আর বাংলাদেশের ইতিহাসের সেই দিনটি নিয়ে নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে।

সমাবেশের মূল মঞ্চ নৌকার আদলে নির্মিত হয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ডাঙায় কোনো একটি নৌকা ভেসে আছে। শুধু মঞ্চই নয়, উদ্যানের চারদিক জুড়ে শুধুই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঐহিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নানা স্মৃতি চিহ্ন। ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু অঙ্গুলি উঁচিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের যে ডাক দিয়েছিলেন তার প্রতিচ্ছবি গোটা উদ্যান জুড়ে লক্ষ্য করা যায়।

এদিন সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই রঙ বেরঙের পোশাক পরে সব বয়সের নারী-পুরুষ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও ৭ মার্চের ভাষণের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করছেন।

এই নাগরিক সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রত্যেকটি প্রবেশমুখে পুলিশ এবং আনসারের উপস্থিতি দেখা গেছে। সব প্রস্তুতি শেষে শনিবার ভোরে উদ্যানের সকল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমাবেশে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তল্লাশি শেষে নেতাকর্মীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিট্রিস কালদুলের হাতে সমাবেশ থেকে একটি ধন্যবাদ প্রস্তাব হস্তান্তর করা হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে মূল মঞ্চ সাজানোসহ সমাবেশস্থলের আশপাশ এলাকা সাজানো হয় হয়েছে বর্ণিল সাজে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা সংলগ্ন ফটক দিয়ে সমাবেশের অতিথিদের যাতায়াতের রাস্তা সাজানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের উল্লেখযোগ্য বক্তব্যগুলো দিয়ে।

অন্যদিকে সমাবেশের মূল মঞ্চের সামনেই তৈরি করা হচ্ছে পৃথক আরেকটি মঞ্চ। যেখানে থাকবেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আয়োজন। এ মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির দলীয় সঙ্গীতের পর শুরু হবে একক সঙ্গীত। এরপর সঙ্গীত পরিবেশন করবেন চন্দনা মজুমদার ও সাজেদ আকবর।

এদিকে আয়োজনের প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সমাবেশ হবে তাদের, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন। এটা কোনো পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। কোনো রাজনৈতিক সমাবেশও নয়।

নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে জানান, সমাবেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিএমপি এটি সরাসরি মনিটর করছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, নাগরিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়। রাত থেকেই সমাবেশস্থল ছিল হকার ও বাস্তুহারা মানুষমুক্ত।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ১৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর