thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিধির প্রজ্ঞাপন জারি

২০১৭ ডিসেম্বর ১১ ১৯:০২:২৯
বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিধির প্রজ্ঞাপন জারি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শৃঙ্খলাবিধির প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। সেটি এখন বিজি প্রেসে ছাপা হচ্ছে। একইসঙ্গে গেজেটের কপিও হাতে পাওয়া যাবে।’

বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশে রবিবার ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণসংক্রান্ত বিধিমালা না করায় গত একবছর ধরে সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের টানাপড়েন চলে আসছে। এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ নিয়ে সরকার ২৫ দফা সময় নিয়েছে।

গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিধিমালা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘শৃঙ্খলা বিধিটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে (বৃহস্পতিবার) চলে গেছে বলে আমি জানি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে এ গেজেট প্রকাশ হবে।’

এর আগে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার।

২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ সময় দেন সরকারকে। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/ডিসেম্বর ১১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর