thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

‘রাখাইনে ২ মাসে ৪০টি গ্রাম পুড়িয়েছে সেনাবহিনী’

২০১৭ ডিসেম্বর ১৮ ১০:৪৬:০৫
‘রাখাইনে ২ মাসে ৪০টি গ্রাম পুড়িয়েছে সেনাবহিনী’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : স্যাটেলাইটে তোলা ছবি বিশ্লেষণের পর যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বার্মার (মিয়ানমার) রাখাইন রাজ্যে গত দুইমাসে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে আরো ৪০টি গ্রামের ভবনসহ বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। ২৫ অগাস্টের পর রাখাইনে এ নিয়ে ৩৫৪টি গ্রাম আংশিক বা পুরোপুরি পুড়িয়ে করে দেওয়া হয়েছে। খবর- বিবিসির।

এই সময়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে একটি বিবৃতিতে বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, স্যাটেলাইট ছবিগুলো প্রমাণ করছে যে, এই ধ্বংসযজ্ঞ এমন সময়েও চালানো হয়েছে, যখন রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে মিয়ানমার। ২৩শে নভেম্বর ওই সমঝোতা হয়।

কিন্তু ২৫শে নভেম্বর রাখাইনের মংডুর কাছে মিয়াও মি চ্যাঙ গ্রামে আগুন আর ঘরবাড়ি ধ্বংসের ছবি তুলেছে স্যাটেলাইট। পরের এক সপ্তাহের মধ্যে চারটি গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

সংস্থাটির এশিয়ার বিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলছেন, ''সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরের সময়েও রাখাইন গ্রামে বার্মার সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো থেকে এটাই প্রমাণ হয়, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার এই প্রতিশ্রুতি স্রেফ একটি প্রচারণা। রোহিঙ্গা গ্রামগুলো ধ্বংসের যেসব অভিযোগ বার্মার সেনাবাহিনী অস্বীকার করে আসছে, সেটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে এসব স্যাটেলাইট ছবি।''

মেদর্স সঁ ফ্রতিয়ের জরিপভিত্তিক পরিসংখ্যান
মিয়ানমারের মংডু, বুথিডাং আর রাথিডাং শহরে আশেপাশের ১০০০ গ্রামের উপর স্যাটেলাইটের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করেছে এসব তথ্য পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এ বছর অগাস্ট মাসের শেষের দিকে রাখাইনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এসব গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়।

সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫৪টি গ্রামের মধ্যে অন্তত ১১৮টি গ্রামে হামলা হয়েছে ৫ই সেপ্টেম্বরের পর, যখন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের অফিস থেকে ঘোষণা দেয়া হয় যে, রাখাইনে অভিযানের সমাপ্তি হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, অগাস্ট থেকে রাখাইনে শুরু করা এই অভিযানের সময় বার্মার সেনাবাহিনী হত্যা, ধর্ষণ, গ্রেপ্তার আর ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড চালিয়েছে। জাতিগত নির্মূলের এই অভিযান মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গেই সমতুল্য বলে সংস্থাটি দেখতে পেয়েছে।

গত ১৪ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বেসরকারি দাতব্য প্রতিষ্ঠান মেদসঁ সঁ ফ্রঁতিয়ে (এমএসএফ) বলছে, মিয়ানমারে আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর এক মাসে অন্তত ৬ হাজার ৭'শ রোহিঙ্গা হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬ হাজার ৭'শ মৃত্যুর কারণ সহিংসতা, যার মধ্যে পাঁচ অথবা তার চেয়ে কম বয়সের শিশু ছিল ৭৩০ জন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭ )

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর