thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

দ্রুত বিচার আইন: সাজা বাড়াতে সংসদে বিল

২০১৮ জানুয়ারি ২২ ২১:২৪:২৮
দ্রুত বিচার আইন: সাজা বাড়াতে সংসদে বিল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইন সংশোধন করে শাস্তির মেয়াদ বাড়াতে সংসদে বিল তোলা হয়েছে। বিলে অপরাধের শাস্তি ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৭ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ‘বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট’নিয়োগের বিধান রাখার প্রস্তাবও করা হয়েছে। সোমবার সংসদের বৈঠকে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার), (সংশোধন) বিল, ২০১৮’ উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

পরে বিলটি পরীক্ষাপূর্বক এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এর আগে বিকাল সাড়ে চারটায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত এই আইনটি ২০০২ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দুই বছরের জন্য পাস করা হলেও পরবর্তী সময়ে একাধিকবার এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল এই আইনটি সংশোধন করে ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ায় বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মাধ্যমে গঠিত বর্তমান দশম সংসদে পাস হওয়া এটিই ছিল সর্বপ্রথম বিল।

সোমবার সংশোধনের উদ্দেশ্যে উত্থাপিত এই বিলে মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলা হয়নি। ফলে আইনটি ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলার সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি দেখানো এ ধরনের গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য ২০০২ সালে আইনটি প্রণয়ন করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আইনের শাস্তির পরিমাণ কম থাকায় সময়োপযোগীকরণ এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও অধিকতর উন্নতি করতে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন।’

দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে আরও ৬০ দিন সময় বাড়ানো পাওয়া যাবে। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যথাসময়ে বিচার শেষ করা সম্ভব হয় না বলে বিচারপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। সরকার বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ঠেকাতে ও প্রতিপক্ষকে দমন করার কাজেও আইনটিকে ব্যবহার করেছে বলে বিরোধী দল গুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/জানুয়ারি ২২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর