thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

রায় শুনতে আদালতের পথে খালেদা

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১১:৫৮:১৭
রায় শুনতে আদালতের পথে খালেদা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের দুর্নীতির মামলার রায় বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন খালেদা জিয়া। মামলার রায় শুনতে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আদালতের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানের বাসা থেকে রওনা দেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। মোতায়েন রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।

এদিনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতে এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ১৬ কার্যদিবসে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান (পলাতক), প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল (কারাগারে), ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ (কারাগারে), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।

এদিন রায় ঘোষণার সময় মামলার প্রধান আসামি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট ওই কর্মকর্তাই খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ১২ আগস্ট মামলাটি বিচারিক আদালতে যায়।

চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর ওই বছর ৭ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার সদরঘাটস্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রাক্তন এ প্রধানমন্ত্রী প্রথম মামলাটিতে হাজিরা দেন। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচার শুরুর জন্য পাঠানো হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ সকল আসামির বিরুদ্ধে ওই আদালতের তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় চার্জ গঠন করেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন।

ওই বছরের ৫ মে মামলাটি পুরান ঢাকার সদরঘাটের আদালত থেকে বকশীবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসার মাঠের অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

একই বছরের ১৯ অক্টোবর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সাতটি ধার্য তারিখে খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রায় নয় ঘণ্টা বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেন। সর্বশেষ ৫ ডিসেম্বর তিনি নিজেকে নির্দোষ ও খালাস পাওয়ার যোগ্য বলে দাবি করেন।

২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলাটিতে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। ওই দিন দুদকের পক্ষে দুই ঘণ্টা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে তা শেষ করা হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০টি ধার্য তারিখে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। কারাগারে থাকা আসামি শরফুদ্দিন আহমেদ ও সলিমুল হক কামালের পক্ষে ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচটি ধার্য তারিখে যুক্তি উপস্থাপন শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়।

আদালতের নথির হিসেবে অনুযায়ী, মামলাটি বিচারিক আদালতে আট বছর পাঁচ মাস ২৬ দিনে মোট ২৩৬টি ধার্য তারিখ পর রায় হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর