thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

ত্রিপুরায় নির্বাচন : ২৫ বছরের বাম শাসন টিকবে?

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১২:২১:৫৯
ত্রিপুরায় নির্বাচন : ২৫ বছরের বাম শাসন টিকবে?

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ত্রিপুরায় গত পঁচিশ বছর ধরে বামপন্থীরা একটানা ক্ষমতায় রয়েছে। এবার সেখানে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি ও উপজাতীয় দল আইপিএফটি'র জোট। খবর- বিবিসির।

ত্রিপুরাতে অন্তত ১৯টি উপজাতি গোষ্ঠীর বাস হলেও, রাজ্যে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

ফলে নানা কারণে নির্বাচন নিয়ে ভারতে এবং ভারতের বাইরে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

ত্রিপুরার সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন যে এবার

শাসকদল বিজেপি কমিউনিস্টদের হাত থেকে এ রাজ্য ছিনিয়ে নিতে চাইছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলছেন যে বিজেপি এবার এ রাজ্য শাসন করবে।

জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, "ওনারা চাইছেন কমিউনিস্টদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে অভিজ্ঞতা নিতে আর সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কেরালায় প্রয়োগ করবেন। সেখানেও তারা সরকার গঠন করতে চান। তারা দুজনই এটা বলছেন বারবার"।

তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরাকে শাসক দল বিজেপির টার্গেট করার কারণ হলো সেখানে বিরোধী দল কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়েছে।

কংগ্রেসের দশ জন বিধায়কের সাত জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।

তাছাড়া রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী মনোভাব চাঙ্গা হয়ে উঠছে।

এসব কারণেই বিজেপির মনে হচ্ছে যে তারা এবার সরকার গঠন করতে পারবে।


জনপ্রিয়তায় কারা এগিয়ে

জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলছেন জনপ্রিয়তায় কারা এগিয়ে সেটা হলফ করে বলা যাচ্ছেনা। তবে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

তিনি বলেন বিজেপি গত নির্বাচন ১ দশমিক ৮ শতাংশ মাত্র ভোট পেয়েছিলো। কিন্তু কংগ্রেস থেকে ও শাসক সিপিআইএমে ভাঙ্গন ধরিয়ে অনেকে যোগ দিয়েছে বিজেপিতে। ফলে দলটি শক্তিশালী হয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়েছে।

এছাড়া কেন্দ্রের মন্ত্রীরাও গত এক বছরে নিয়মিত সফর করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দুবার ত্রিপুরায় এসে চারটি জনসভা করেছেন। দলটির শীর্ষ নেতারা অনেকে এসেছেন। অনেকদিন ধরেই তারা সংগঠনকে গড়ে তুলতে চাইছেন।

কমিউনিস্টদের কি অবস্থা?

রাজ্যে দীর্ঘদিনের শাসক হিসেবে এবার কমিউনিস্টদের কি অবস্থা জানতে চাইলে জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন সিপিআইএম এর কেন্দ্রীয় নেতারাও রাজ্য সফর করে জোরদার প্রচার চালিয়েছেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার একাই ৫০টির মতো সভায় বক্তব্য দিয়েছেন।

মানিক সরকারকে নিয়ে বিতর্ক কেন?

মি. ভট্টাচার্য জানান নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। নাম উল্লেখ না করেও তিনি সাদা পাঞ্জাবী কালো দাগে ভরে গেছে।

তার মতে এমনিতে সবাই বলে মুখ্যমন্ত্রী সৎ লোক। কিন্তু রাজ্যে যে দুর্নীতি হচ্ছে সরকারি কর্মচারী ও পার্টির নিচু পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে সেটা তিনি রুখতে হয়েছেন-এমন সমালোচনাও আছে।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর