thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

২০১৮ মার্চ ১০ ২৩:৩৩:১৮ ২০১৮ মার্চ ১১ ০১:২৫:০০
বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শ্রীলঙ্কার বেধে দেওয়া ২১৫ রানের টার্গেটে নেমে দুর্দান্ত বিজয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটিং ঝড় খুব সহজেই বিশাল লক্ষ্য পাড়ি দেওয়ার আভাস দিয়েছিলো। সেই ঝড়েই জয় তুলে নিলেন মুশফিক। মুশফিকের অপরাজিত ঝড়ো ৭২ রানে ১৯.০৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৫ রান করেছে বাংলাদেশ।

শেষ ওভারে ৯ রান দূরত্বে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ, স্ট্রাইকে মুশফিক। প্রথম বলে ২ রান, ৫ বলে ৭! গ্যালারি স্তব্ধ,পরের বলে ৪। বাকি ৩ বলে দরকার ১ রান। পরের বলেই বলে ব্যাট ছুয়ে দৌড়। ১রান। জয় বাংলাদেশের জয়।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৭৪ রান করার পরও বিশ্বাস হচ্ছিল না। কারণ, এই বাংলাদেশই যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ বলে ১ রান তুলতে না পারার এক বিস্ময় জন্ম দিয়েছিল। উইকেটেও কেমন করে যেন সে ম্যাচের দুই কুশীলব, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ! দলকে ২২ রান দুরে রেখে ভারত ম্যাচের মতোই প্রায় কাছাকাছি জায়গায় ক্যাচ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ ফিরতেই মনে কু ডাকা শুরু। আবারও কি ‘কাছে তবু কত দূরের’ কষ্টে পুড়বে বাংলাদেশ? ১০ বলে ১৮ রানের দূরত্বে রেখে হাস্যকরভাবে সাব্বিরের রান আউটের পর তো মনে হচ্ছিল টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো দুই শ রান করাটাই আজকের দিনের সান্ত্বনা হয়ে থাকবে।

কিন্তু একজন মুশফিক যে ছিলেন উইকেটে। ২৪ বলে ফিফটি ছুঁয়েই আর দায়িত্ব সাড়েননি। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ম্যাচ যখন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, ঠিক তখনই এক ছক্কা। এভাবেই ২ বল হাতে রেখেই ২১৫ রানের লক্ষ্য ছুয়ে দেন মুশফিকুর রহিম।

লিটন ও তামিম শুরু থেকে ঝড় তোলেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার মাত্র এক বল আগে লিটন এলবিডাব্লিউ হন নুয়ান প্রদীপের বলে। মাত্র ৫.৫ ওভারে ৭৪ রানের জুটি গড়ে ফিরেন তিনি। ১৯ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে ৪৩ রানে আউট হন লিটন।

দলীয় স্কোর ১০০ রান করে দশম ওভারের তৃতীয় বলে থিসারা পেরেরাকে ফিরতি ক্যাচ দেন তামিম। ২৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৪৭ রানে আউট হন এই বাঁহাতি ওপেনার।

এর আগে কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে শুরু থেকে ঝড় তুলেছিল শ্রীলঙ্কা, যার শেষ করেন কুশল পেরেরা। দুজনের দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরিতে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া বাংলাদেশকে ২১৫ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। ৬ উইকেটে লঙ্কানরা করেছে ২১৪ রান।

নিদাহাস ট্রফি টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৪ ওভারে ৫৩ রান তোলে তারা কোনও উইকেট না হারিয়ে। পঞ্চম ওভারে দানুশকা গুনাথিলাকাকে মোস্তাফিজুর রহমান ফেরালেও কুশল মেন্ডিস ও কুশল পেরেরার ব্যাটে বড় স্কোরের পথে স্বাগতিকরা।

প্রথম ওভারে তাসকিনকে একটি করে চার ও ছয় মেরে শুভ সূচনা এনে দিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। তার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে আছেন দানুশকা গুনাথিলাকা। পরের ওভারে মোস্তাফিজ দেন আরও ১১ রান।

তৃতীয় ওভারে বল হাতে নেন রুবেল হোসেন। এই ডানহাতি পেসারের বলে একটু দেখেশুনে খেলেছেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার, নেন মাত্র ৬ রান। তবে তাসকিন তার দ্বিতীয় ওভারে আবারও তোপের মুখে পড়েন ২২ রান দিয়ে।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে মোস্তাফিজ তার স্লোয়ার কাটারে গুনাথিলাকাকে বোল্ড করেন। ১৯ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ২৬ রান করেন লঙ্কান ওপেনার। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে ক্রিজে আছেন কুশল পেরেরা।

২৬ বলে দুটি চার ও চারটি ছয়ে চার ইনিংসে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন কুশল মেন্ডিস। মাহমুদউল্লাহ প্রথমবার বল হাতে নিয়ে তাকে ফেরান। ৩০ বলে ৫৭ রান করে কুশল মেন্ডিস প্রতিপক্ষ অধিনায়কের শিকার হন সাব্বির রহমানের ক্যাচ হয়ে। ওই ওভারেই দুটি বল খেলে দাশুন শানাকা শূন্য রানে সাব্বিরকে ক্যাচ দেন।

পরের ওভারে সাব্বির তার তৃতীয় ক্যাচ ধরেন দিনেশ চান্ডিমালের। বল করেছিলেন তাসকিন আহমেদ।

শেষ ওভারে জোড়া আঘাত করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় বলে কুশল পেরেরাকে ৭৪ রানে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান তিনি। মাত্র ৪৮ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ে ইনিংস সেরা পারফরম্যান্স করেন কুশল পেরেরা। থিসারা পেরেরাকে এক বল বিরতি দিয়ে নাজমুল ইসলামের ক্যাচ বানান বাঁহাতি পেসার। উপুল থারাঙ্গা ১৫ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর