thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

‘খালেদার কারাবাসে দলে ঐক্য বেশি মজবুত হয়েছে’

২০১৮ মার্চ ১৩ ১৪:০৭:৩২
‘খালেদার কারাবাসে দলে ঐক্য বেশি মজবুত হয়েছে’

দ্য রিপেোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলটির ঐক্যের জায়গা আরো মজবুত হয়েছে। আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। নেতাদের মধ্যে কোনো ধরনের বিভেদ নেই।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন জেলে যাওয়ার পর তারা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করতে চাইছে যে বিএনপি ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু শকুনের দোয়ায় গরু মরবে না। বিএনপি চেয়ারপারসন জেলে যাওয়ার পর বিএনপি আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ। আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে। নেতাদের মধ্যে কোনো ধরনের বিভেদ নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ সব নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।

সরকার ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় টিকে আছে এবং তা আরো দীর্ঘায়িত করতে চাইছে বলেও তার বক্তব্যের অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

নেতা-কর্মীদের রাজপথের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজপথই হচ্ছে একমাত্র বিকল্প। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথের মাধ্যমেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে। আমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে।’

বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কথা জানান বিএনপির মহাসচিব।

সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে চাইছে না দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কারণ তারা জানে খালেদা জিয়া মুক্ত হলে তাদের ক্ষমতার মসনদ উড়ে যাবে।’

গ্রেপ্তারের পর সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ‘মনুষ্যত্বহীন’ আচরণ করছে অভিযোগ করেন তিনি বলেন, গ্রেপ্তার পর কারাগারে নিয়ে রিমান্ডের মাধ্যমে নজিরবিহীন নির্যাতন করছে।’

অর্থনীতি, শিক্ষা, ব্যাংক খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট খাতের মন্ত্রীরা কেন পদত্যাগ করছে না, সেই প্রশ্ন তোলেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, যারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায় জনগণ তাদের টেনে হিচড়ে নামাবে।

সব দলকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে ক্ষমতাসীনদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। দেশটাকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে। অর্থাৎ তাদের মতো করে নির্বাচন করবে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কি চায় তা তারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে। তারা গণতন্ত্রের মধ্যে থাকতে চায়, গণতন্ত্রের মধ্যে বাস করতে চায়।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, সুকোমল বড়ুয়া, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ১৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর