thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

২০১৮ মার্চ ১৩ ১৭:৫১:৪২
ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ ছয় কর্মকর্তার মানসিক আঘাত প্রশমনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক মাই রিপাব্লিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১।

বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

বিমানটির অপর ২১ আরোহী বর্তমানে রাজধানী কাঠমান্ডুর কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী।

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের উপ-মহাপরিচালক রাজন পোখারেল বলেছেন, ‘নির্মম ঘটনার পর মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এটাই মানসম্মত পদ্ধতি। তারা বিশাল একটি দুর্যোগের স্বাক্ষী এবং বিস্মিত। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ কমাতে আমরা তাদের অন্য বিভাগে বদলি করেছি।’

তবে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ও এটিসি টাওয়ারের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁসের সঙ্গে তাদের বদলির সম্পর্ক নেই বলে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে ঘটনার পরপরই। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমন আভাস মিলে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

অডিও রেকর্ডের শুরুতে শোনা যায়, কন্ট্রোল রুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে পাইলট বলেন, ঠিক আছে স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোল রুমে।

কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারো কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন?

এ সময় পাইলট দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোল রুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারো ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাইলট বলেন, স্যার আমি আবারো অনুরোধ করছি রানওয়ে ক্লিয়ার করুন। এর পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ত্রিভুবণ বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আঁছড়ে পড়ে। সূত্র : মাই রিপাব্লিকা, নেপালি টাইমস।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর