thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ 24, ৫ চৈত্র ১৪৩০,  ৯ রমজান 1445

জয় বাংলাদেশের জয়

২০১৮ মার্চ ১৬ ২৩:০৬:৫৬
জয় বাংলাদেশের জয়

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দম বন্ধ করা এক ম্যাচে অবিস্মরনীয় জয় নিয়ে ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। চার বলে ১২ রানের টার্গেটে পৌছুতে হবে এমনই এক অবিশ্বাস্য কাজকে সাধ্যর মধ্যে এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহর । ক্রিকেটীয় কোনো মহাকাব্যে বোধহয় এই বিজয় লেখা হয়নি। বাংলাদেশও বোধহয় এমন বিজয় এর আগে পাইনি। রান আউটের প্রান্ত বদলে দেওয়ার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে হঠকারী বলে মাঠ ছেড়ে দিতে উদ্যেত সাাকিবের বাংলাদেশ। সেই মাঠে সাকিবের বিদ্রোহকে বৈধ বলে মেনে নিতে বাধ্য হলো আম্পায়ার। আর তাতেই ক্রিকেটের বরপুত্রমাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চেপে বিজয় ছিনিয়ে নিলো বাংলাদেশ। ২ উইকেটে জিতে ত্রিদেশীয় ক্রিকেটের ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। জয় বাংলাদেশ জয়।

জয়ের পথে হয়তো ছুটছিল না, কিন্তু ঠিকই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। ১২ ওভার শেষেও প্রয়োজনীয় রান রেট থেকে পিছিয়ে পড়েনি বাংলাদেশ, হাতে ৮ উইকেট। এ ম্যাচে নিরঙ্কুশ ফেবারিট তো বাংলাদেশ! কিন্তু কীভাবে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে হয় সেটাই দেখিয়ে দিলেন তামিম-মুশফিকেরা। মাত্র ১৫ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ৯৭ রান থেকে হঠাৎ করেই ৫ উইকেটে ১০৯ বাংলাদেশ।
অথচ ১২ ওভার পর্যন্ত শুধু সুখবরই ঘোরাঘুরি করছিল বাংলাদেশ দলের চারপাশে। মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার ছুঁয়েছেন মুশফিক। অপর প্রান্তে এই মাইল ফলকে সবার আগে পৌঁছা তামিম। ১২ ওভার শেষে দলের স্কোর ২ উইকেটে ৯৫। ইনিংসের ওই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৬৮ রান। ২৭ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ তো জয়ের আশা করতেই পারে।
কভার দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মুশফিক ফেরার পরও আশা হারায়নি বাংলাদেশ, তামিম যে ছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ইতিহাস সৃষ্টি করা সেই ইনিংসের পর আর কখনো ফিফটিও করতে পারেননি। আজ সে দুঃখটাও মিটল। ৪১ বলে ফিফটি করা তামিম কিনা আউট পরের বলেই! কোনো চার ছক্কা না মেরে ১০ রান করা সৌম্য আউট ৪ বল পরেই। তবে কি পথ হারাল বাংলাদেশ?
৩১ বলে ৫১ রানের সমীকরণ মাথায় নিয়ে মাঠে নামলেন সাকিব আল হাসান। বিদায় নিলেন দলকে ১২ বলে ২৩ রানের সমীকরণে। এর মাঝে ৯ বলে ৭ রানই করতে পেরেছেন সাকিব। দলকে জেতানোর সব দায় দায়িত্ব সিরিজের আগের তিন ম্যাচের অধিনায়কত্ব করা মাহমুদউল্লাহর কাঁধেই পড়ল। মাহমুদউল্লাহও চেষ্টা করলেন তাঁর সর্বোচ্চ। শেষ ওভারে ১২ রানের সমীকরণ, প্রতি বলে দুই রান। সমস্যা একটাই, স্ট্রাইকে যে নেই মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দুই বল নষ্ট হলো, কোনো রান এল না। শেষ ওভারের প্রথম বলে কোন রান পেলেন না মুস্তাফিজ। পরের বলে প্রান্ত বদলের চেষ্টা। তাতেই রান আউট মুস্তাফিজ। নো বল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিলেন আম্পায়ার। বাধ সাধলেনক্যাপ্টেন সাকিব।

সাকিব মাঠের বাইরে ডেকে নিতে চাইলেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারী থেকে সারাদেশে। শেষ পর্যন্ত বলের প্রান্তে মাহামুদ উল্লাহ । তাতেই কাজটি করে দিলেন তিনি। চার বলের প্রথম বলে বাউন্ডারী। পরের বলে মাহমুদউল্লাহর ব্যটে এলো ২ রান। বাকি দুই বলে দরকার ৬ রান। পরের বলে হার না মানা ছক্কা। তাতেই লঙ্কা বধ। এ যেন এক ক্রিকেটীয় মহাকাব্য। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এমনই বিজয় এখন যেন নিয়মিত নিয়তি।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর