এরশাদের রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী জেরা ২০ মার্চ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিমানের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে জেরা অব্যাহত রেখেছেন তার আইনজীবী। মামলার পরিচালক বর্তমান দুদকের উপ-পরিচালক মনজুর আহমেদকে সুলতান মাহমুদের পক্ষে জেরা করেন এরশাদের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম। পরবর্তী জেরার জন্য মার্চের ২০ তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আব্দুল মজিদ রবিবার জেরা শেষে আগামী ২০ মার্চ পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেছেন।

আসামি এরশাদ এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে আইনজীবী সামছুদ্দিন বাবুল হাজিরা দাখিল করেন। এরশাদসহ মামলার অন্য আসামি হলেন- বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক রয়েছেন।

১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দু’টি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনে। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/একে/এমডি/সা/মার্চ ২, ২০১৪)