thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করছে: জয়

২০১৮ মে ২৩ ১১:৪৩:০০
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করছে: জয়

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণের ১০ দিন পর তার নিজস্ব অবস্থানে (অরবিট স্লট) পৌঁছেছে। এখন এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করা শুরু করেছে।

বুধবার (২৩ মে) প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এখন বাংলাদেশের উপর তার চূড়ান্ত নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছে গেছে। স্যাটেলাইটটির সব সিস্টেম যথাযথভাবে কাজ করছে।

গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে মহাকাশে তীব্র গতিতে ছুটে যায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটটির নির্দিষ্ট কক্ষপথ হলো ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের উৎক্ষেপণস্থল থেকে এই কক্ষপথের দূরত্ব ৩৬ হাজার কিলোমিটার।

উৎক্ষেপণের পরপরই স্যাটেলাইটটি ৩৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে। এরপর ১০ দিনে ৩০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে স্যাটেলাইটটি তার বর্তমান স্থানে পৌঁছেছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্যাটেলাইটটি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় একবার পৃথিবী পরিক্রমণ করবে।

বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্যাটেলাইট তার অবস্থান নিয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, তারা এখন বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করার আগে আরও বেশকিছু পরীক্ষা চালাবেন। তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক এই অপারেশন শুরু হবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনা এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে বিসিএসসিএল।
ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের কাছ থেকে কেনা হলেও এটি পরিচালিত হবে গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে। এর জন্য মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দলকে প্রশিক্ষিত করে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে মূল তত্ত্বাবধানে প্রথম তিন বছর সহায়তা করবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি।

গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশনের অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনে সংকেত পাঠাতে শুরু করেছে। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ার গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে এটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে।

স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের ফলে আবহাওয়া নিয়ে আরও সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেয়া ছাড়াও দুর্গম এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ে যাওয়া, টেলিমেডিসিন সেবা আরও বিস্তৃত করার পাশাপাশি টেলিভিশন সম্প্রচারে বিপ্লবের আশা করছে সরকার।
প্রকল্পের তথ্য মতে, প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্যাটেলাইট প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

সরকার আশা করছে, এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের। সেই সঙ্গে নেপাল, ভুটানের মতো দেশের কাছে ভাড়া দিয়ে বছরে বড় অংকের টাকা অর্জন করা যাবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ২৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর