thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় গেছেন

২০১৮ মে ২৫ ১০:৩২:২০
প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় গেছেন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুদিনের সরকারি সফরে শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।

শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান।

কলকাতার নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিমানবন্দর থেকেই প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে বীরভূমের শান্তি নিকেতনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে কলকাতায় এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ফলে তিস্তার পানি বণ্টনসহ দুই দেশের অমীমাংসিত অন্য বিষয়গুলোও ঘুরে ফিরে আসছে বিভিন্ন আলোচনায়।

শান্তি নিকেতনে বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাবর্তন শেষে বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের ফলক উন্মোচন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও দুই প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ-শত জন্মবার্ষিকীর উদযাপন ঘিরে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত এই ভবনে রয়েছে ৪৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহ, যা বিশ্বভারতীতে থাকা প্রেক্ষগৃহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসভিত্তিক সংগ্রহশালার পাশাপাশি ভবনটিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ের গ্রন্থের সংগ্রহ নিয়ে একটি পাঠাগারও তৈরি করা হয়েছে।

ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন শেষে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান থেকে হেলিকপ্টারে কলকতায় ফিরে হোটেল তাজ বেঙ্গলে উঠবেন শেখ হাসিনা। ভারত সফরের সময় এই হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি। বিকেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করার পর সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতার ব্যবসায়ী নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে যোগ দিতে আসানসোল যাবেন শেখ হাসিনা। সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি দেওয়া হবে। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বক্তৃতা দেবেন।

আসানসোল থেকে কলকতায় ফিরে বিকেলে নেতাজী যাদুঘর পরিদর্শন করার পর শনিবার রাতে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ২০১৭ সালের এপ্রিলে দিল্লি সফর করেন শেখ হাসিনা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ২৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর