thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৮ শাওয়াল 1445

‘বন্দুকযুদ্ধে’ ঢাকাসহ সারাদেশে নিহত ১২

২০১৮ মে ২৮ ০৯:৩৯:৫৯
‘বন্দুকযুদ্ধে’ ঢাকাসহ সারাদেশে নিহত ১২

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে আট জেলায় পুলিশ, র‌্যাব ও নিজেদের মধ্যে সঙ্গে তথকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী।

রবিবার (২৭ মে) দিবাগত রাত থেকে সোমবার (২৮ মে) ভোররাত পর্যন্তেএ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

ঢাকা : রাজধানীর মিরপুরে মাদক বিক্রির সময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাত পরিচয় এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

রবিবার রাত ৩টার দিকে মিরপুরের রূপনগর ‘ট’ ব্লকে সরকারি কর্মচারীদের নির্মাণাধীন ভবনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।

রূপনগর থানার এনআই মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, খবর আসে রূপনগর ট-ব্লক এলাকায় সরকারী কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে মাদকব্যবসায়ীর অবস্থান করছে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাতে সেখানে গেলে মাদকব্যবসায়ীরা গুলি ছোঁড়ে পুলিশদের উদ্দেশ্য করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে একজন নিহত হন। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

কুমিল্লা : কুমিল্লায় আবারো মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের কথিত ‘বন্দুযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে জেলার দেবীদ্বার ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় দুটি পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

পুলিশ দাবি, তারা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি।

নিহতরা হলেন-দেবীদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি (মির্জানগর) স্লুইস গেট এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে এনামুল হক ভূঁইয়া দোলন ওরফে দুলাল (৩৫) এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে নুরু মিয়া ওরফে নুরু হুজুর (৫৫)।

বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী নিহতের বিষয়টি স্বীকার করে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, নিহত এনামুল হক ভূঁইয়া অনেক পুরনো মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ১২টি মাদক মামলা ও একটি ডাকাতি মামলা রয়েছে।

এঘটনায় দেবীদ্বার থানার এসআই যুবরাজ বিশ্বাস, কনস্টেবল গনেশ ও মনির আহত হয়েছে। এসময় পুলিশের ঘটনাস্থল থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ১০০ পিস ইয়াবা, ১টি পাইপগান, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১টি কার্তুজের খোসা উদ্ধারের দাবি করেছে।

অপরদিকে সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, নিহত নুরু মিয়া প্রকাশ নুরু হুজুরের বিরুদ্ধে ১১টি মাদক মামলা ও ১টি অস্ত্র মামলা রয়েছে।

পিরোজপুর : পিরোজপুরে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ওহিদুজ্জামান (৩৫) ও মিজানুর রহমান (৩৪) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এসময় ডিবি ও থানা পুলিশের ৮ সদস্য আহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার কৈবর্তখালী গ্রামে ও মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার দুপুরে পিরোজপুর পৌরসভার উত্তর কৃষ্ণ নগর এলাকা থেকে ওহিদুজ্জামানকে পিরোজপুর ডিবি পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী রাত পৌনে ১টার দিকে সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের টোনা ব্রিজ সংলগ্ন কৈবর্তখালী গ্রামে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে গেলে ওহিদুজ্জামানের সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এসময় অহিদুজ্জামানকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা।

পরে ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ডিবি পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এসময় মাদক ব্যবসায়ী ওহিদুজ্জামান পালাতে গেলে গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় ডিবি পুলিশের এএসআই আল-আমিন ও ডিবি পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ৫ রাউন্ড গুলি, দুটি বগি দা, ১৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫০ গ্রাম গাঁজা, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে মাদক, সন্ত্রাসী, অস্ত্র মামলাসহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার গণমাধ্যমকে জানান, রোববার দিবাগত রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। রাত পৌনে ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।

এ সময় মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন, উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম, তসলিমুর রহমান ও নূর আমিন, সহকারী উপপরিদর্শক ইয়ার আলী ও আবুল হাসান আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেড় কেজি গাঁজা, ৫৫ পিচ ইয়াবা বড়ি ও চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের ছয়টি মামলা রয়েছে।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ মে) সকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার বাকাল আগুনপুর গ্রামের একটি মৎস্য ঘের সংলগ্ন কাঁচারাস্তা থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের দাবি, মাদক ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মাদক বিক্রেতাদের দু’পক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রবীর গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

চাঁদপুর : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পিচ্চি হান্নানের সহযোগী ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আবু সাঈদ বাদশা ওরফে লাল বাদশা (৪৫) নিহত হয়েছে।

রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় পূর্ব গুপ্টি ইউনিয়নের বৈচাতরী এলকায় এই ঘটনা ঘটে।

বাদশা ওই উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ ছৈয়ালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় ৭টি, চাঁদপুর সদরে ২টি, চট্টগ্রামে ১টিসহ মোট ১০টি মাদক মামলা রয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ আলম গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ নিহতের কাছ থেকে ১১১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ঘটনাস্থল থেকে ১টি একনলা বন্দুক, ৩টি ককটেল, ৪ রাউন্ডগুলি উদ্ধার করেন। মাদব ব্যবসায়ীদের গুলিতে পুলিশের এএসআই বাবুল, সুমন, সুমন চৌধুরী, কনস্টেবল আশরাফ ও দেলোয়ার আহত হন। লাশের প্রাথমিক সুরতহালের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম মাহফুজুর রহমান ও ইউএইচও জাহাঙ্গীর আলম শিপন। পরে লাশ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ সদরের মিরকাদিমে মাদক ব্যবসায়ী সুমন বিশ্বাস ওরফে কানা সুমনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পৌরসভার মুরমা কাতলাপাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সদর থানার ওসি,তদন্ত গাজী সালাউদ্দীন গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার দিবাগত রাতে দুইটার দিকে খবর আসে কানা সুমনের লাশ মুরমা কাতলাপাড়া ব্রিজের সামনে পড়ে আছে, সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে তাঁরা। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মরদেহটি পাঠানো হয়। মিরকাদিম পৌরসভার পানির ট্রাংকি এলাকার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে সুমন। তার বিরুদ্ধে মাদক ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পঁচিশটি মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নাটোর : মাদকবিরোধী অভিযানে নাটোরের সিংড়ায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। অভিযানে অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার সহ র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার ভাগনাগরকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব-৫ এর সিপিসি -২ কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার রাতে র‌্যাবের একটি টহল দল নাটোর-আত্রাই আঞ্চলিক সড়কে টহল দিয়ে নাটোরে ফিরছিল। পথে সিংড়া উপজেলার ভাগনাগরকান্দি গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি চক্র মাদক লেনদেন করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাবের ওই দলটি। এসময় গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালালে সেখানে উপস্থিত কিছু মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় র‌্যাবও পাল্টাগুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সহযোগিরা পালিয়ে গেলে র‌্যাব ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, অভিযানে র‌্যাবের দুইজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জাড়গ্রাম নামক স্থানে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলিতে ফরিদ (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদ ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই সড়কের উপ-শহর পাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানান, নিহত ফরিদ পেশাদার চোর ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ গণমাধ্যমকে জানান, রাত ১টার দিকে জাড়গ্রামে গোলাগুলির শব্দ শুনে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। অজ্ঞাত যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা লাশটি ফরিদের বলে সনাক্ত করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ১ কেজি গাঁজা, ২০ বোতল ফেনসিডিল ও ৬ জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগির নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পাবনা : পাবনার বেড়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইজ্জত আলী প্রামানিক (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পুলিশের দাবি, ইজ্জত আলী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজী ও অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে।

পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার রাত ১টার দিকে বেড়া থানা পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিল। এসময় তারা পৌর এলাকার তেঘরী মহল্লার গিয়ে দেখতে পায় একটি ডাকাত দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে কাঠের গুড়ি ফেলে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছে। এসময় পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। কিছু সময় বন্দুকযুদ্ধ চলার এক পর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ইজ্জত আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ২৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর