যশোরে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে আটক, পুলিশের অস্বীকার

যশোর প্রতিনিধি: যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও নগর কমিটির সভাপতি মারুফুল ইসলামকে ‘পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে’ বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এই দুই নেতাকে আটকের কথা স্বীকার করেনি পুলিশ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ বলেন, আজ বিকেলে শহরের মুজিব সড়কে জিলা স্কুলের প্রধান গেটের কাছে ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে গিয়েছিলেন বিএনপি নেতা সাবু ও যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম। সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়(এমএম কলেজ) ছাত্রদল প্রতি বছরের মতো এবারও এই কর্মসূচি আয়োজন করে। বিকেল পৌনে ৬ টার দিকে সেখানে সাদা পোশাকে একদল লোক একটি প্রাইভেটকার ও চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে চেপে হাজির হয়। তারা সাবু ও মারুফকে কারটিতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।

তবে বিএনপি নেতা সাবু-মারুফকে আটকের কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার গণমাধ্যমকর্মীদের জিজ্ঞাসার জবাবে বলেন, ‘ওই দুই নেতাকে আটকের বিষয়টি আমার নলেজে নেই।’

একই ধরনের বক্তব্য দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামানও।

তবে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি, যারা সাবু-মারুফকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে, পুলিশের লোক বলে মোটামুটি নিশ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখানে উপস্থিতদের কেউ কেউ দুই নেতাকে তুলে নেওয়ার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করেন।

জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন ও নগর সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু বলছেন, তারা জানতে পেরেছেন, পুলিশই নিয়ে গেছে সাবু-মারুফকে।

বিএনপি নেতারা বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন জানিয়ে বলেন, সাবেরুল হক ও মারুফুল ইসলাম তাঁদের নামে থাকা রাজনৈতিক মামলাগুলোতে জামিনে আছেন। ঈদের আগ মুহূর্তে এমন একটি নিরীহ কর্মসূচি থেকে নেতাদের ধরে নিয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন বিএনপির নেতারা।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ জুন ১৫, ২০১৮)