thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ইন্দোনেশিয়ায় ধর্মীয় নেতার প্রাণদণ্ড

২০১৮ জুন ২২ ১৭:২৩:২৬
ইন্দোনেশিয়ায় ধর্মীয় নেতার প্রাণদণ্ড

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দুই বছর আগে জাকার্তার প্রাণকেন্দ্রে হওয়া আত্মঘাতী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এক ধর্মীয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার একটি আদালত।

আমান আবদুর রহমান নামে ৪৬ বছর বয়সী ওই ধর্মীয় নেতার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের যোগাযোগ ছিল। জেলে থাকা অবস্থাতেই তিনি ২০১৬ সালের ওই সন্ত্রাসী হামলার ছক কেটেছিলেন বলে অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তাদের।

জাকার্তার স্টারবাকসে হওয়া ওই আত্মঘাতী হামলায় চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। অভিযুক্ত আবদুর রহমান স্থানীয় একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবেও পরিচিত, জানিয়েছে বিবিসি।

২০১৬ সালের ওই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামিক স্টেটের যোগসাজশে হওয়া প্রথম কোনো হামলা বলে দাবি দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

হামলার ছয় বছর আগে থেকেই জেলে অবস্থান করছিলেন আবদুর রহমান। কারাপ্রকোষ্ঠে বসে তার করা পরিকল্পনাতেই দু্ই বছর আগের ওই হামলা হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।

সেবারের সন্ত্রাসী হামলায় স্টারবাকস ছাড়াও পুলিশের একটি নিরাপত্তা চৌকি বিস্ফোরিত হয়েছিল।

বিদেশি দূতাবাস ভবন ও জাতিসংঘের বিভিন্ন দপ্তরের কাছাকাছি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে চালানো ওই হামলার সময় স্টারবাকস ভবনের ভেতরে আশ্রয় নেওয়া বন্দুকধারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি বিনিময়ও হয়েছিল।

হামলাকারী চারজনের মধ্যে দু’জন বোমায় নিজেদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন, গোলাগুলিতে মারা পড়েন বাকি দু’জন।

শুক্রবারের রায়ে আবদুর রহমানকে ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার’ দায়ে অভিযুক্ত করে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।

ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক জেমা আনসারুত দৌলাহর (জেএডি) আধ্যাত্মিক নেতা তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ আগেই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সমর্থকদের সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে বললেও কখনোই ইন্দোনেশিয়ায় হামলার আদেশ দেননি বলেও দাবি এ ধর্মীয় নেতার।

জঙ্গি জেএডিকে ইন্দোনেশিয়ায় আইএসের একমাত্র সমর্থনপুষ্ট দল হিসেবেই মনে করা হয়।

আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে জাকার্তার বাস স্টেশনে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে তিন পুলিশ সদস্য হত্যা এবং বর্নিও দ্বীপের সামারিন্দার একটি চার্চে বোমা হামলা চালিয়ে চার শিশুকে আহত করার ঘটনাতেও জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ওই হামলাগুলোর সময়ও কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা খাটছিলেন জেএডির এ আধ্যাত্মিক নেতা।

বিশ্বের অন্যতম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একের পর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেও ২০১৬ সালের ওই আত্মঘাতী হামলাতেই ইসলামিক স্টেট প্রথম দায় স্বীকার করেছিল।

চলতি মাসেও দেশটির সুরাবায়া এলাকার তিনটি চার্চ ও পুলিশ সদরদপ্তরে কয়েক দফা আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

৯ ও ১২ বছর বয়সী দুটি মেয়েসহ ছয় সদস্যের একটি পরিবার চার্চগুলোতে হামলা চালিয়েছিল বলে পরে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

হামলায় ১১ জন নিহতের পর একে ২০০৫ সালের পর ইন্দোনেশিয়ায় সংঘটিত সবচেয়ে প্রাণঘাতি জঙ্গি আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ১৩ বছর আগে বালিতে হওয়া ওই সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ২২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর