thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

বাংলাদেশ কাতারসহ ১৬ দেশকে পেছনে ফেলেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

২০১৮ জুন ২৪ ১৫:৩১:৩৮
বাংলাদেশ কাতারসহ ১৬ দেশকে পেছনে ফেলেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ গেল ১০ বছর হত দরিদ্র ছিল। কিন্তু এখন আর হত দরিদ্র নেই। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই এক দশকে বাংলাদেশ ১৬ দেশকে ডিঙ্গিয়েছে। আগামী ২২ বছরে এ দেশ আরও ২২ দেশকে পেছনে ফেলবে।’

রবিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ- সিপিডি আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেটে নিয়ে পর্যালোচনায় তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে এ তথ্য দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘গতবার যখন সিপিডি প্রোগামে এসেছিলাম, তখন হতদরিদ্র হিসেবেই এসেছিলাম। এখন আমরা হতদরিদ্র নেই। কিছু দিন আগেই জাতিসংঘ আমাদের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে। তার আগে বিশ্বব্যাংক নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি দেয়।’

‘দরিদ্র শ্রেণির বন্ধনি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আরও একটি সুখবর হচ্ছে- ১০ বছর আগে পৃথিবীর অর্থনীতিতে আমাদের অবস্থান ছিল ৫৮তম দেশ। এই ১০ বছরে আমরা ১৬টি দেশকে ডিঙ্গিয়ে- আমাদের অবস্থান এখন ৪২তম স্থানে। এই ১৬টি দেশ হলো- ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, নিউজিল্যান্ড, কাতার, ভিয়েতনাম, পর্তুগাল, গ্রিস, পেরু, ইরাক, আলজেরিয়া, কাজাখস্তান, হাঙ্গেরি, কুয়েত, সুদান ও তেল সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলা।’

আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ৪২ থেকে উন্নত দেশে পাড়ি দেয়া। এটা আমারা করতে পারবো ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ১০ বছরে ১৬টি দেশকে টপকাতে পারি, তাহলে ২০৪১ সালে আমাদের উন্নত দেশ হওয়ার যে স্বপ্ন আছে, তা পূরণ করতে পারবো। প্রতি বছর একটি করে দেশকে পিছিয়ে ফেলে ২২ বছরে ২২টি দেশকে টপকে যাবে বাংলাদেশ। তখন বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ২০তম। আমরা জি-২০ বা এলিট ক্লাসে পৌঁছে যাবো।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা তা হয়তো আমরা অর্জন পারিনি। এর পেছনে মূল সমস্যা হচ্ছে- পাওয়ার। এনার্জি না থাকলে ইন্ডাস্ট্রি হয় না। আর এটা না হলে আউটপুটও পাবেন না। আর রপ্তানিরও কোনও ব্যবস্থা থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির উপস্থিত ছিলেন।

বাজেট পর্যালোচনা ও সুপারিশ আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সিপিডি’র সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সংলাপে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন। আর সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এ সময় ব্যাংক খাতে অনিয়মকারি কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আরো শক্তিশালী করা হবে। তিনি বলেন, অনিয়মের জন্য ফারমার্স ব্যাংকের ১৪ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। তবে যারা নিয়ম মেনে ব্যবসা করবে তাদেরও সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ২৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর