thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

দু’দিনে উদ্ধার ৮ ,বাকি ৫ গুহায়

২০১৮ জুলাই ০৯ ১৭:৫৯:২৩
দু’দিনে উদ্ধার ৮ ,বাকি ৫ গুহায়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়াদের মধ্যে আরও ৪জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর সোমবারের অভিযান শেষ করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত গুহা থেকে মোট ৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গুহায় এখনও রয়েছে ৪ কিশোর ও তাদের কোচ। উদ্ধার অভিযানে সংশ্লিষ্ট এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তবে সরকারিভাবে অভিযান স্থগিত ও উদ্ধারকৃতদের সংখ্যা ও অবস্থা সম্পর্কে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সোমবার ৪জনকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে। তবে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ৩জনকে উদ্ধারের কথা জানিয়ে ৪র্থ জনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করার কথা লিখেছিল প্রথমে। পরে চতুর্থজনকে উদ্ধারের কথা জানায়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন ফুটবল অনুশীলন শেষে ২৫ বছর বয়সী কোচসহ ওই ১২ কিশোর ফুটবলার গুহাটির ভেতরে ঘুরতে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে গুহার প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর বের হতে পারেনি। এরপর টানা ৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২ জুলাই গুহার ভেতরে জীবিত অবস্থায় তাদের শনাক্ত করে ডুবুরিরা। রবিবার (৮ জুলাই) থাইল্যান্ড সরকার তাদের উদ্ধারে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

রোববার চার জনকে উদ্ধার করা হয় যারা সবাই এখন হাসপাতালে রয়েছে, তবে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানানো হয়। এর পর উদ্ধার অভিযানে প্রায় ১০ ঘন্টার একটি বিরতি দেয়া হয়েছিল।

সোমবার আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার খবর দিয়েছে যে উদ্ধারকারীরা স্ট্রেচারে করে একজনকে বের করে এ্যামবুলেন্সে তুলছেন বলে দেখা গেছে।

বিবিসির সংবাদদাতা জোনাথন হেড ঘটনাস্থল থেকে জানাচ্ছেন, একটি পুলিশ হেলিকপ্টার উদ্ধারকৃত একজনকে নিয়ে দক্ষিণ দিকে উড়ে গেছে ।
দু'সপ্তাহেরও বেশি আগে চিয়াং রাই প্রদেশের ওই গুহাটিতে আটকা পড়ে ১২ জন কিশোর এবং তাদের ফুটবল কোচ।
উদ্ধার করা কিশোরদের কারো পরিচয়ই এখনো প্রকাশ করা হয় নি, এবং তাদের পরিবারের লোকেরাও এখনো তাদের সাথে দেখা করতে পারেন নি।


যেভাবে উদ্ধার করা হচ্ছে গুহায় আটকাপড়া দলটিকে

রোববার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গুহার ভেতরে আটকা পড়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। ভারী বৃষ্টির পর গুহার ভেতর পানির উচ্চতা আরও বেড়ে যেতে পারে এমন আশংকায় রোববারই এই উদ্ধার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দক্ষ ডুবুরিরা আটকে পড়া কিশোরদের ডুবে যাওয়া সুড়ঙ্গের পানির ভেতর দিয়ে পথ দেখিয়ে গুহার প্রবেশ মুখে নিয়ে আসছেন।
প্রত্যেক কিশোরকে পুরো মুখ ঢাকা অক্সিজেন মুখোশ পরতে হচ্ছে। প্রতিজনের সামনে এবং পেছনে দুজন ডুবুরি থাকছে গাইড হিসেবে। এরা তাদের এয়ার সিলিন্ডারও বহন করছে।
গুহার যে জায়গায় এই ছেলেরা আটকে পড়েছে, সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে আবার গুহামুখ পর্যন্ত ফিরে আসতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডুবুরিরও প্রায় এগারো ঘন্টা সময় লাগছে।
এর মধ্যে কিছুটা পথ হাঁটতে হয়, বাকি পথটা পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে এবং ডুব সাঁতার দিয়ে আগাতে হয়।
অনেক চড়াই-উৎরাই আছে গুহার ভেতরে, অনেক জায়গা পানিতে ডুবে আছে। সেখানে ডুব সাঁতার ছাড়া উপায় নেই। আর এই পুরো যাত্রাটাই হচ্ছে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে।
সবচেয়ে কঠিন অংশটা মাঝামাঝি জায়গায়। এটিকে একটা টি-জাংশন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এই জায়গাটা এতটাই সরু যে সেখানে ডুবুরিদের তাদের এয়ার ট্যাংক খুলে ফেলতে হচ্ছে।
এরপর ক্ষণিকের যাত্রাবিরতির জন্য গুহার মধ্যে একটা ক্যাম্প মতো করা হয়েছে। সেখান থেকে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে তাদের গুহামুখে আসতে হচ্ছে।
বেরিয়ে আসার পর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।

দ্য রিপোর্ট / টিআইএম/৯ জুলাই,২০১৮

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর