thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

পারমাণবিক কেন্দ্রের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা : প্রধানমন্ত্রী

২০১৮ জুলাই ১৪ ১৪:১৭:৪৫
পারমাণবিক কেন্দ্রের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা : প্রধানমন্ত্রী

পাবনা প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জনগণের জন্য যেন কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি না হয়, সেই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে কোনো কোনো মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকেন। বিশেষ করে এ নিরাপত্তা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরাও এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। এটি নির্মাণে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার গাইডলাইন এবং আন্তর্জাতিক মান অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে।

শনিবার (১৪ জুলাই) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাই কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নাই। পরমাণু শক্তি আমরা শান্তির কাজে ব্যবহার করবো। রাশিয়ার সর্বশেষ জেনারেশন থ্রি-প্লাস প্রযুক্তির রিঅ্যাক্টর দিয়ে তৈরি হচ্ছে এ কেন্দ্র। পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণের সর্বাধুনিক ব্যবস্থা আছে এ রিঅ্যাক্টরে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ ও প্রশিক্ষত জনবল তৈরির কার্যক্রম আমরা গ্রহণ করেছি। জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের ভারত ও রাশান ফেডারেশনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুধু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়, স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য আমরা নিজস্ব জনবল তৈরি করছি।

তিনি বলেন, আমাদের মেধাবি ছেলেমেয়েদের অভাব নেই। যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে পারলেই আমাদের ছেলেমেয়েরাই এ উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক শক্তির নিরাপদ এবং সুরক্ষিত প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ প্রণয়ন করেছি। এছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নামে একটা স্বাধীন পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। এ সংস্থা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে আইএইএ, রাশিয়া এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছি।

তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকটি বিবেচনা নিয়েই এ প্ল্যান্টের ডিজাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। আশাকরি ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ এ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট থেকে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে আমাদের জাতীয় গ্রিডে। ২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে আসবে।

শেখ হাসিনা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প ছিল জাতির পিতার স্বপ্নের প্রকল্প। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করি। বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়া এটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি রাশিয়া সরকার এবং সেই দেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে রাশিয়া কনফেডারেশনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বোরিসভ, বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর