thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

‘বিএনপি থেকে খালেদা-তারেককে সরানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে’

২০১৮ জুলাই ১৫ ১৭:৪০:০৮
‘বিএনপি থেকে খালেদা-তারেককে সরানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের মাধ্যমে বিএনপির নেতৃত্ব থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।

রবিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ দাবি করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপিকে বিপর্যস্ত করতে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছেন শেখ হাসিনা। মঈন-ফখরুদ্দীন যে কায়দায় বিএনপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করেছিল সেই একই কায়দায় এখন পুনরায় বিছানো হচ্ছে ষড়যন্ত্রের জাল। বিএনপির বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হবে। এরই অংশ হিসেবে সরকারের সংস্থাগুলো নানামুখী তৎপরতায় যুক্ত হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে- বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে দলীয় গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সর্বসম্মত প্রস্তাবে বিলুপ্ত ৭ নম্বর ধারার অনুরূপ একটি ধারা নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও তে সংযোজন করার অপচেষ্টা চলছে। এর পর ওই ধারার দোহাই দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিএনপির নেতৃত্ব থেকে সরানোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির গঠনতন্ত্রে ৭ ধারা পরিবর্তন নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমলোচনা করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, গত ১১ জুলাই সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বিএনপি গঠনতন্ত্রে ৭ ধারা পরিবর্তন করলো কেন? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিএনপি এবং দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অসত্য, বানোয়াট অপপ্রচার। বিএনপি গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা গত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের দ্বারা সংশোধিত।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা পরিবর্তন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর ও এ বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির সুপারিশ অনুয়ায়ী, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে ৭ ধারা বাতিলসহ দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়, যা পরে নির্বাচন কমিশনে দেয়া হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন মায়া ও সাবেক মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর দলীয় ও সংসদীয় পদে বহাল আছেন। কিন্তু এটাতে কোনো দোষ নেই। শুধু দোষ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। তাকে একটি সাজানো মামলায় দীর্ঘদিন আটকে রাখছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার চায় খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে। এ জন্য তার শারীরিক অবস্থা কঠিনতর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বারবার অনুরোধ করা হলেও তাকে পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে না। সরকার যে অমানবিক আচরণ করছে, এটি কোনো সভ্য দেশে চলতে পারে না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই- বেগম জিয়ার কিছু হলে সম্পূর্ণ দায় এই অবৈধ সরকারকে নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মইন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর