thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

দাসত্বের শিকার ৬ লাখ বাংলাদেশি

২০১৮ জুলাই ২১ ১১:৩৯:৪৮
দাসত্বের শিকার ৬ লাখ বাংলাদেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দাসপ্রথা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলেও তার অপচ্ছায়া এখনও বহাল তবিয়তেই আছে। একবিংশ শতাব্দীতেও তাই বিশ্বের অন্তত চার কোটি ৩০ লাখ মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার হচ্ছেন বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশে এ সামাজিক ব্যাধির শিকার প্রায় ছয় লাখ মানুষ। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করা অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত 'বৈশ্বিক দাসত্ব সূচক ২০১৮' প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। সূচকে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২তম।

সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশে আনুমানিক ৫ লাখ ৯২ হাজার মানুষ দাসের মতো জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে। প্রতি হাজারে যার অনুপাত ৩.৬৭ জন। নানা কারণে এসব মানুষ নামমাত্র মজুরিতে দাসের মতো শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছে। দালালের খপ্পরে পড়ে অনেককে বেছে নিতে হচ্ছে যৌনকর্মীর জীবন। আবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করে অনেক নারী জীবন কাটাচ্ছেন ক্রীতদাসীর।

সূচক অনুযায়ী বর্তমানে আধুনিক দাসের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এশিয়ায়। এই মহাদেশে অন্তত ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এর শিকার। এ সূচকে ভারতের অবস্থান ৫৩তম। সেখানে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ আধুনিক দাস। তবে আধুনিক দাস সবচেয়ে বেশি চীন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ায়। পুরো বিশ্বে আধুনিক দাসের মোট সংখ্যার ৬০ শতাংশেরই বাস এই তিন দেশে।

সূচকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। সেখানে প্রতি হাজারে ১০৪.৬ জন মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার। ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশনের গবেষকরা উত্তর কোরিয়ার ৫০ জন নাগরিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। যারা বর্ণনা করেছেন, কীভাবে রাষ্ট্রের নির্দেশে তারা বিনা মজুরিতে কৃষি খামার, নির্মাণ অথবা অবকাঠামো খাতে শ্রম দিতে বাধ্য হয়েছেন।

তবে এ ক্ষেত্রে উন্নত দেশ বলে পরিচয় দেওয়া দেশগুলোও কম পিছিয়ে নেই। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই চার লাখেরও বেশি মানুষ রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া শ্রম, জোরপূর্বক বিয়ে ও যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন।

ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু ফরেস্ট বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ। কিন্তু সেখানেই যদি ৪ লাখের বেশি মানুষ দাসের মতো জীবনযাপন করে, জোরপূর্বক শ্রম চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বুঝতে অসুবিধা হয় না বিশ্ব পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।' অ্যান্ড্রু ফরেস্ট আরও বলেন, দাসত্ব আধুনিক দেশগুলোরই তৈরি সমস্যা ও তারাই এর ভোক্তা। তাই আধুনিক দেশগুলোকেই এর সমাধান করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ২১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর