thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া কিসের ইঙ্গিত

২০১৮ জুলাই ২৩ ০০:৩৫:৪১
বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া কিসের ইঙ্গিত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দেশে দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর ঢাকায় বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়ার পর- এটি বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও সুযোগ দেয়ার সূচনা কি-না তা নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।

যদিও বিশ্লেষকদের মধ্যে এ নিয়ে পরস্পর বিরোধী মতামত যাওয়া গেছে। তবে বিএনপি বলছে, জনমত ও আন্তর্জাতিক চাপেই সরকার তাদেরকে এ সুযোগ দিয়েছে।

বিবিসি জানায়, বিএনপি ঢাকায় সর্বশেষ সমাবেশ করেছিলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। এরপর নানা ইস্যুতে বেশ কয়েকবার সমাবেশের অনুমতি চাইলেও পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি মেলেনি।

সর্বশেষ গত ৮ই ফেব্রুয়ারি দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আদালতে সাজা পেয়ে কারাগারে যাওয়ার পর অনেকবার আবেদন করেও সমাবেশের অনুমতি পায়নি বিএনপি।

দলীয় নেতারাও শুক্রবারের নয়া পল্টনের সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। তবে অবশেষে অনুমতি পেয়ে সমাবেশ করতে পারায় কথাবার্তা হচ্ছে যে এটা কি তাহলে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্যে আরো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে?

ওই সমাবেশের একদিন পরেই ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসম্বর্ধনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

তবে বিতর্ক যাই হোক, বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়াকে ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, " একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে আওয়ামী লীগও প্রস্তুত হচ্ছে যে বিএনপিকে কিছুটা জায়গা দিতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক মহলের পাশাপাশি দেশের ভেতরেও উদ্বেগ আছে নির্বাচন যেনো স্বচ্ছ হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বও জানেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে দেশের ভাবমূর্তিতে চিড় ধরবে। আমার ধারণা সামনে বিএনপি আরও একটু বেশি জায়গা পাবে।"

কিন্তু এই অভিমতের সাথে পুরোপুরি একমত নন আরেকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, "এটা শুভ সূচনা হলে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে যে এ সুযোগ আরও বড় হবে কি-না। তবে এটা স্বাভাবিক যে নির্বাচনের আগে আরেকটু গণতান্ত্রিক সুযোগ বিরোধী দলকে দিতে হবে।"

তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলছেন, এর সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই কারণ সভা সমাবেশের সুযোগ পেয়েও ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।

তিনি বলেন, নির্বাচনে যাক আর না যাক সহিংসতা না করলে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকার কোন বাধা দেবে না।

"বিভিন্ন সময় দেখা গেছে সমাবেশের নামে বিএনপি সহিংসতা চালায়। সেজন্যই অনেক সময় শর্তারোপ করা হয়। তারা যদি সহিংসতা না করে তাহলে অবশ্যই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আরও সুযোগ দেবে," বলেন তিনি।

অবশ্য সহিংসতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, সরকার দীর্ঘদিন পর একটি সমাবেশের অনুমতি দিলেও এর বিশেষ কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব তাদের কাছে নেই।

তিনি বলেন, "এটা একটা জনসভা। দীর্ঘদিন দেয়া হচ্ছে না। আমরাও বারবার অনুমতি চাইছি। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা কোন রাজনৈতিক সূত্রে গাঁথা নয়।"

তবে দল দুটির নেতারা যাই বলুন বিশ্লেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ দু'জনই বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবারের বিএনপির সমাবেশের সুযোগের মধ্যে যদি সত্যিকার অর্থেই সরকারের কোন বার্তা থাকে তাহলে সেটি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ২৩,২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর