thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৭ শাওয়াল 1445

কমলাপুরে মানুষের ঢল, ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় ভোগান্তি

২০১৮ আগস্ট ২০ ১১:২৭:০৯
কমলাপুরে মানুষের ঢল, ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় ভোগান্তি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঈদযাত্রার চতুর্থদিন সোমবার (২০ আগস্ট)। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। তবে অন্যান্য তিন দিনের মতোই চতুর্থদিনেও ট্রেনযাত্রার শিডিউল ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রেন নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানোর কারণে কমলাপুর থেকে ছাড়তেও দেড়ি হচ্ছে।

প্রায় প্রত্যেকটি ট্রেনই দেড় থেকে তিন ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে। ট্রেনের যাত্রা বিপর্যয় আর গরমে কাহিল হয়ে পড়ছেন স্টেশনে অপেক্ষারত ঘরমুখো মানুষেরা। কেউ কেউ গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, শেষ সময়ে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে ট্রেনগুলো ধীর গতিতে চলছে। আর অনেক ট্রেনও সময় মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারছে না। তাই ঢাকা ছাড়তেও এসব ট্রেনের দেরি হচ্ছে।

সোমবার সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত অনেক ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। ফলে এদশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে যাত্রাও করতে পারছে না। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের ভাগাভাগি করতে গ্রামে ফেরার অপেক্ষায় হাজার হাজার মানুষ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার মোট ৬৯টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে পাঁচটি ঈদ স্পেশাল, ৩১টি আন্তঃনগর। বাকি ৩৩টি ট্রেন লোকাল, মেইল এবং কমিউটার ট্রেন।

ভোর ছয়টায় রাজশাহীর উদ্দেশে আন্তঃনগর ধুমকেতু এক্সপ্রেসের কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি সকাল ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্টেশনে দাঁড়ানো ছিলো। খুলনা অভিমুখী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ২০মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা; তবে সেটি কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে।

আর নীলফামারীর চিলাহাটি অভিমুখী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ঢাকা স্টেশন ছাড়ার কথা; তবে ট্রেনটি এখন এসে স্টেশনে পৌঁছায়নি। স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি রংপুর থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেসও।

রেল কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, নীলসাগরের ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে ১০টা ৪০ মিনিটে। আর রংপুর এক্সপ্রেসের সকাল ৯টায় রংপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও আড়াই ঘণ্টা দেরিতে সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে ১১টা ৪৫মিনিটে।

সূচি বিপর্যয়ের একই অবস্থা ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটের বিশেষ ট্রেন ‘দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল’, ও লালমনিরহাট-ঢাকায় চলাচলকারী ‘লালমনি স্পেশালে’রও।

ট্রেনের সময়সূচিতে বিপর্যয়ের কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অপেক্ষারত যাত্রীরা। তারা জানান, মহাসড়কের যানজট আর ভাঙাচোরা রাস্তার ভোগান্তি কমাতে ট্রেনের টিকিট কাটলাম। এখনও এখানেও সেই একই ভোগান্তিই। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে অপেক্ষা করতে করতে বৃদ্ধ ও বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, কোনো ট্রেন কমলাপুর থেকে দেরিতে ছাড়ছে না। তবে ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকায় ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে। আবার দেরিতে কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন আসায় যাত্রার ক্ষেত্রেও কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করছি যাতে কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ২০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর