thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

পাবনার চলনবিলে নৌকাডুবি : বাকি দুইজনের লাশ উদ্ধার

২০১৮ সেপ্টেম্বর ০২ ১০:০৪:২২
পাবনার চলনবিলে নৌকাডুবি : বাকি দুইজনের লাশ উদ্ধার

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরের চলনবিলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বাকি দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের কর্মীরা। এ নিয়ে নিখোঁজ মোট পাঁচজনেরই লাশ উদ্ধার করা হলো। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো উদ্ধার অভিযানের।

রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে চলনবিলের সমাজ এলাকা থেকে একজনের এবং সকাল ৮টার দিকে ভাঙ্গাজোলা নামক এলাকা থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন গণি ও ঈশ্বরদীর আমবাগন এলাকার ব্যবসায়ী স্বপন বিশ্বাস।

চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, সকাল ৭টার দিকে সমাজ এলাকা থেকে বিল্লাল গণির লাশ এবং সকাল ৮টার দিকে স্বপ্নন বিশ্বাসের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল। শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঈশ্বরদীর কলাম লেখক মোশারফ হোসেন মুসার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন পারুলের মরদেহ এবং দুপুর দেড়টার দিকে স্বপন বিশ্বাসের শিশুকন্যা সাদিয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা। এ সময় দুর্ঘটনা কবলিত নৌকাটিও উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা। তার আগে গত শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে উদ্ধার করা হয় ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন গণির স্ত্রী মমতাজ পারভীন শিউলির মরদেহ।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চলনবিলের চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পাইকপাড়া ঘাট এলাকায় নৌকার ছইয়ের ওপর মোবাইলে সেলফি তুলতে গিয়ে ছই ভেঙে নৌকাডুবির এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিন প্রথমে চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ও স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পানিতে নেমে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

এদিকে, খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও উদ্ধার তৎপরতার খোঁজখবর নেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। জেলা প্রশাসক পরিদর্শন শেষে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান দেন। এ ছাড়া প্রথম উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া কিশোর সুমন হোসেনকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক।

অপরদিকে, এই দুর্ঘটনার পর রাতেই সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) তাপস কুমার পাল, থানার ওসি প্রশাসন মো. বদরুদ্দোজা, হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমারের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর