thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা

এখতিয়ার না থাকায় শুনানি করলেন না হাইকোর্ট

২০১৪ মার্চ ০৫ ১৬:০২:১৬
এখতিয়ার না থাকায় শুনানি করলেন না হাইকোর্ট

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জামিন শুনানির এখতিয়ার না থাকায় সাগর-রুনির মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি অন্য কোনো বেঞ্চে দাখিল করার জন্য আদেশ দেন।

আদালত আদেশে বলেন, কাউকে হাজির করে কোনো মামলার অবস্থা সম্পর্কে জানার এখতিয়ার থাকলেও আসামিকে জামিন দেওয়ার এখতিয়ার না থাকায় মামলাটি আমরা শুনতে পারছি না। বরং যে বেঞ্চে এ দুই বিষয়ে এখতিয়ার আছে সেই বেঞ্চে মামলাটি দাখিল করেন।

আদালত বলেন, যেহেতু তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে এ মামলায় আটককৃত তিন আসামির জামিন আবেদন করার পর। তাই জামিন দেওয়া এবং হাজির করে শুনানির ক্ষমতাসম্পন্ন বেঞ্চে গেলে ভালো হয়। অথবা প্রধান বিচারপতির নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে আসলে আমরা শুনতে পারব।

এর আগে সকালে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সর্বশেষ তথ্য জানানোর জন্য র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাফর উল্লাহ আদালতে হাজির হয়েছিলেন। সকালে মামলার নথিপত্র আদালতে না থাকায় দুপুরে শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। এরপর দুপুরে শুনানিতে আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এস এম মাসউদ হোসেন দোলন। তাকে সহযোগিতা করেন খলিফা শামসুন্নাহার।

তিনি জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমরা প্রধান বিচারপতির নিকট আবেদন করব অন্য যেকোনো বেঞ্চে এ মামলার শুনানির জন্য। তারপর হয়ত একসঙ্গে আসামির জামিন ও তদন্ত কর্মকর্তার নিকট হতে তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে শুনানি হবে।

গত ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি হত্যার অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন নওশের আলম রোমান। এই মামলার তদন্ত করতে ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ডিবির কাছ থেকে তদন্তের জন্য র‌্যাবের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে সাগর-রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার নিজ গৃহে খুন হন।

ঘটনার পর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। একদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। দুই মাসেরও অধিক তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছর এপ্রিল মাসে হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে ন্যস্ত করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমডি/সা/মার্চ ০৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর