ক্ষমা চাইলেন রামেকের পরিচালক ও রেজিস্ট্রার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ওয়ার্ড বয়কে দিয়ে রোগীর অপারেশন করার বিষয়টি স্বীকার করে হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন হাসপাতালের পরিচালক ও রেজিস্ট্রার।

পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান ও রেজিস্ট্রার ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জানান, ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করা হবে। এরপর আদালত তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ওয়ার্ড বয় কর্তৃক রোগীর অপারেশন কেন করা হয়েছে, এর কারণ জানাতে ওই হাসপাতালের পরিচালক ও রেজিস্ট্রারকে তলব করে হাইকোর্ট। বুধবার নির্ধারিত দিনে তারা স্বশরীরে হাজির হন।

আদালত ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই দুজনকে তলব করে সরকারকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশনা দেয়। অন্য নির্দেশনায় ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলা হয়। পাশাপাশি দেশের হাসপাতালগুলোতে উন্নত ও নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সহকারী সচিব, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও সম্পাদক, রাজশাহী মেডিকেলের পরিচালক ও রেজিস্ট্রারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

‘স্বাস্থ্য নেশা চিকিৎসা সেবা : চিকিৎসকেরা ব্যস্ত রাজনীতি ও দলবাজিতে, অপারেশনের ছুরি-কাঁচি ওয়ার্ড বয়দের হাতে’ শিরোনামে ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ১৭ ফেব্রুয়ারি জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী ও এখলাস উদ্দিন ভূইয়া।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমএআর/এনআই/মার্চ ০৫, ২০১৪)