thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

সিনহার অ্যাকাউন্টে টাকা : ৬ ব্যাংক কর্মকর্তাকে তলব

২০১৮ সেপ্টেম্বর ২৬ ১০:৫১:৫৭
সিনহার অ্যাকাউন্টে টাকা : ৬ ব্যাংক কর্মকর্তাকে তলব

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী একেএম শামীমসহ ৬ ব্যাংক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি টাকা স্থানান্তরের সঙ্গে ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে- এমন অভিযোগে তাদের তলব করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় এ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তারা দুদকে হাজির হন।

এর আগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নোটিশে তাদের বুধবার হাজির হতে বলা হয়েছে। এ তদন্ত কাজে সহায়তা করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

হাজিরা দেওয়া অন্যান্য ৫ ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার উম্মে সালমা সুলতানা, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, ম্যানেজার (অপারেশন) ও ভাইস প্রেসিডেন্ট লুতফুল হক এবং সাবেক হেড অব বিজনেস ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাউদ্দিন।

এ বিষয়ে সোমবার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, আমরা অনুসন্ধান করছি কিনা এ বিষয়ে সরাসরি উত্তর দেয়া সম্ভব না। দুদক দু’জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঋণ নিয়ে ওই টাকা অবৈধভাবে অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়া যাবে না। দালিলিক প্রমাণ দিয়ে টাকা কোথায় ও কীভাবে গেল সে বিষয়টি খুঁজে বের করতে হবে। দালিলিক প্রমাণ ছাড়া দুদক কারও বিরুদ্ধে মামলা করবে না।

এর আগে গত ৬ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুই ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি টাকা স্থানান্তরের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ওইদিন তাদের দুই আইনজীবী আফাজ মাহমুদ রুবেল ও নাজমুল আলম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এস কে সিনহাকে তার বাড়ি বিক্রির ৪ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

তারা জানান, এস কে সিনহার উত্তরার ৬ তলা বাড়িটি ৫ কাঠা জমির ওপর। বাড়িটি ২০১৬ সালের শুরুর দিকে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা ও সাবেক প্রধান বিচারপতির ‘কথিত পিএস’ রণজিতের স্ত্রী শান্তি রায় ৬ কোটি টাকায় ক্রয় করেন।

বায়না দলিলকালে তিনি ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকা পরিশোধের জন্য নিরঞ্জন ও শাহজাহানের সহযোগিতা নেন। নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা শান্তি রায়ের স্বামী রণজিতের চাচা। আর শাহজাহান রণজিতের বন্ধু।

দুই আইনজীবী আরও বলেন, বাড়ি কেনার বিষয়ে নিরঞ্জন ও শাহজাহান ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২ কোটি টাকা করে মোট ৪ কোটি টাকা ঋণ নেন। ঋণ পরিশোধে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে শান্তি রায় জামিনদার হন।

জামিনদার হিসেবে শান্তি রায় টাঙ্গাইল ও ঢাকার আশপাশের বেশকিছু জমি বন্ধক রাখেন। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের মে মাসে বায়না দলিল হয় এবং ৮ নভেম্বর দুটি পে-অর্ডারে এস কে সিনহা সোনালী ব্যাংক সুপ্রিমকোর্ট শাখার মাধ্যমে চার কোটি টাকা গ্রহণ করেন। পরে ২৪ নভেম্বর হস্তান্তর দলিলের মাধ্যমে বাড়িটি শান্তি রায়কে বুঝিয়ে দেন।

দুদক সূত্র জানায়, এ বিষয়ে গত বছরের শেষদিকে আসা এক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তা যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

অনুসন্ধানে যদি জানা যায়, ওই ৪ কোটি টাকা বাড়ি বিক্রির নয়, বরং ঘুষ বা জালিয়াতি করে অন্য কোনো জায়গা থেকে এস কে সিনহার হিসাবে স্থানান্তরিত হয়েছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর