thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতেই সংলাপে বসছে সরকার: আইনমন্ত্রী

২০১৮ অক্টোবর ৩০ ১৮:০৯:২১
গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতেই সংলাপে বসছে সরকার: আইনমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘কোনও বিদেশি চাপে নয়, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছেন।’

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাঁদমারী এলাকায় জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ নিবন্ধন মহাপরিদর্শক ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, হোসনে আরা বাবলী, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া ও জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন নাহারসহ অনেকে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সংলাপের জন্য ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ডক্টর কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন, তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন অনেক ত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র অর্জিত হয়েছে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার জন্য সংবিধানসম্মত যেকোনও আলোচনার ব্যাপারে তার দ্বার সর্বদা খোলা আছে। এতেই বোঝা যায় কোনও বিদেশি চাপে সংলাপ হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মমর্যাদাশীল একজন ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশকে তিনি একটি মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। তিনি কোনও বিদেশি চাপে নত হওয়ার মতো মানুষ না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে কোনও রাজনৈতিক সমস্যা নেই। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলছে। সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় যে কাজ করা দরকার সরকার তা করে যাচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার সাজা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে কোনও ব্যক্তির যদি নৈতিক স্খলনের জন্য দুই বছরের বেশি সাজা হয়, তবে তিনি সাজা খাটার পর আরও পাঁচ বছর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশের দুটি রায় আছে। একটি রায়ে বলা আছে, যদি আপিল বিভাগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত সাজা স্থগিত করেন তবে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। আরেকটি বিভক্ত রায় আছে, যাতে একজন বিচারক বলেছেন নির্বাচন করতে পারবেন, আরেকজন বলেছেন পারবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকল আইনের ঊর্ধ্বে হচ্ছে সংবিধান। আমার মনে হয় আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি পারবেন না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রাজস্ব খাতে রেজিস্ট্রি অফিস প্রতি বছর কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকা অর্জন করে সরকারের কোষাগারে জমা দিয়ে আসছে। কিন্তু এই রেজিস্ট্রি খাতকে অন্যান্য সরকার অবহেলা করেছে, এমনকি প্রাপ্ত মর্যাদাটুকু দেয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দলিল লেখকরা টিনের বেড়ার ঘরে মাটিতে পাটি বিছিয়ে অনেক কষ্টে দলিল লিখে সম্পাদন করেছেন। রেজিস্ট্রি ভবন তো দূরের কথা নিজস্ব কোনও জমি ছিল না। নারায়ণগঞ্জও এর ব্যতিক্রম ছিল না। রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ছিল হতাশা। কিন্তু বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এ প্রতিকূল অবস্থা থেকে দেশের রেজিস্ট্রি অফিসগুলো অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। দেশের প্রতিটি জেলায় সাবরেজিস্ট্রার বাংলাদেশ নিবন্ধন মহাপরিদর্শক অফিসের মাধ্যমে সরকার এই খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/অক্টোবর ৩০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর