thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট

২০১৮ নভেম্বর ০৭ ১১:৩৪:৫১
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাত দফা দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু করেছে ঐক্যফ্রন্ট।

বুধবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত সংলাপ। দেশের সবার দৃষ্টি আজকের এ সংলাপের দিকে।

এর আগে সংলাপে অংশ নিতে বেইলি রোডের বাসা থেকে বুধবার সাড়ে ১০টার পর গণভবনে পৌঁছেন ড. কামাল হোসেনসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

আজকের সংলাপে ১৪-দলীয় জোটের প্রতিনিধিদলে যে ১১ জন থাকবেন, তারা হলেন- আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, স ম রেজাউল করিম, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন।

তাদের নেতৃত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ, জাসদের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও এসএম আকরাম এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

দ্বিতীয় দফা সংলাপে অংশ নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য সংবিধানের ভেতরে থেকেই প্রস্তাব দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে এ জন্য আরও সংলাপের প্রয়োজন হতে পারে।

কাজেই তারা তফসিল পিছিয়ে দেয়ার পাশাপাশি আলোচনা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করবেন।

সংবিধানের মধ্যেই সমাধানের অংশ হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।

তবে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

দ্বিতীয় দফা সংলাপে অংশ নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য সংবিধানের ভেতরে থেকেই প্রস্তাব দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে এ জন্য আরও সংলাপের প্রয়োজন হতে পারে।

কাজেই তারা তফসিল পিছিয়ে দেয়ার পাশাপাশি আলোচনা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করবেন।

সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলবে। এ সরকার কেবল নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এর বাইরে নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত দেবে না।

১ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ আলোচনা। এর পর ২ নভেম্বর বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট, ৪ নভেম্বর ক্ষমতাসীন ১৪-দলীয় জোট, ৫ নভেম্বর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোট, ৬ নভেম্বর দুপুরে ইসলামী ঐক্যজোটসহ ধর্মীয় অন্যান্য দল এবং বিকালে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

১ নভেম্বর সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের ২০ নেতা এবং আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ২৩ নেতা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টার সেই সংলাপে আশানুরূপ ফল আসেনি। সংলাপ থেকে বেরিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা জানান, তারা এ সংলাপে সন্তুষ্ট নন।

যদিও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দাবি করেন, সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে। প্রথম দফা সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ দাবি মেনে না নেয়ায় ফের স্বল্পপরিসরে সংলাপ চেয়ে রোববার প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠান ড. কামাল হোসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দেয়ায় আজ ফের সংলাপ হতে যাচ্ছে।

জানা গেছে, উভয়পক্ষই কিছুটা ছাড় দিয়ে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছার চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে তারা ঐকমত্যে আসতে পারেন বলেও অনেকে ধারণা করছেন।

আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হতে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। কারণ দাবি মানা না হলে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এ জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর