অস্ট্রেলিয় ক্যাথলিক খ্রিস্টান নারীর ইসলাম গ্রহণের ইতিকথা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইসলাম হচ্ছে একটা বিশ্বজনীন জীবন বিধান। পৃথিবীর যে-কোনো বংশ-গোত্রের লোকই ইসলামের পথে যে-কোনো সময় আসতে পারে। কারো জন্যেই কোনোরকম বাধা নেই কিংবা ইসলামে প্রবেশের ব্যাপারে গোত্র বা বংশ বিশেষের কোনোরকম তুলনামূলক প্রাধান্যও নেই।
ইসলাম সেই আবির্ভাবের সূচনা থেকেই যে ব্যাপারে আকর্ষণীয় ছিল তা হলো চমৎকার সব নৈতিক শিক্ষা, আধ্যাত্মিক এবং আত্মগঠন সংক্রান্ত মৌলিক শিক্ষা। আর এসব আকর্ষণীয় শিক্ষার মূল প্রোথিত রয়েছে পবিত্র আল-কোরআনে। আল কোরআনের উচ্চতর চিন্তাধারা এবং উন্নত ও শক্তিমান জ্ঞানের প্রবাহ মানুষকে নিয়ে যায় জীবন উৎকর্ষের রাজপথে। কোরআন এ পথে যেতে মানুষকে যথার্থ দিক-নির্দেশনা দেয়। ইসলাম মানুষকে দেয় স্বাধীনতা ও চিন্তার ভারসাম্য, সেইসাথে দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধ্ব থেকে উর্ধ্বতর দিগন্তে পাখা মেলা এবং সত্য আবিষ্কারের অবাধ অধিকার। এই অধিকার চর্চা করেই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছেন এইবাত বালদাচিনা নামের এক রমনী। তাঁর মুসলমান হবার ইতিকথা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
এইবাত বালদাচিনার বয়স একত্রিশ বছর। কিছুকাল আগে তিনি মুসলমান হয়ে নিজের নাম রাখেন সুরাইয়া। নওমুসলিম এই মহিয়সী নারী অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী। তাঁর মা হলেন ব্রিটিশ আর পিতা হলেন ইতালীয়। ছোট বেলায় তাঁকে ক্যাথলিক খ্রিস্টান হিসেবে বারিস্নান দেওয়া হয়েছিল। সুরাইয়া তাঁর পুরো শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সমাজ বিজ্ঞানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন। স্বয়ং সুরাইয়া এ সম্পর্কে বলেছেনঃ
"আমি এক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু সেই কিশোরী বয়সেই আমার ভেতর একটা বিষয় আমি অনুভব করতাম। সেটা হলো আমি ভাবতাম যে নিশ্চয়ই এই বিশ্বের স্রষ্টা একক কোনো সত্ত্বা হবেন। ত্রিত্ববাদ বা তিন খোদার বিষয়টি আমার কাছে কেন যেন গ্রহণযোগ্য বলে মনে হতো না। আমার মনে হতো ইঞ্জিল গ্রন্থে কোনো কোনো নবীর ব্যাপারে যেসব অন্যায় বিষয়-আশয় আরোপিত হয়েছে সেসব কিছুতেই আল্লাহর পক্ষ থেকে হতে পারে না। কিন্তু আমি যেই ক্যাথলিক খ্রিষ্টান পরিবেশে বেড়ে উঠেছি সেখানে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে গবেষণা করার কোনো সুযোগ ছিল না।"
এইবাত বালদাচিনা আরো বলেন, "আমার বয়স যখন নয় বছর,তখন আমাকে পাদ্রির কাছে নিয়ে যাওয়া হলো স্বীকার করার জন্যে। স্বীকার মানে হলো পাদ্রি আমার কাছে চাচ্ছিলো-আমি যেন স্বীকার করি গত সপ্তার দিনগুলোতে আমি কী কী গুনাহ বা অন্যায় কাজ করেছি।স্বীকার করার কারণ হলো তাতে গুনাহের বোঝা হালকা হয়ে যাবে। আমি তাকে বললাম গত সপ্তায় আমি কোনোরকম অন্যায় কাজে লিপ্ত হই নি। আর যদি কোনোরকম গুনাহ বা অন্যায় কাজ করিও,তাহলে আমি সরাসরি খোদার কাছে বলবো,তাঁর কাছে তওবা করবো।"
অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী মিস এইবাত নিজের ধর্মের শিক্ষাগুলোর ব্যাপারে সন্দেহ করতেন বলে অন্য ধর্ম নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। তিনি বলেন, এক স্রষ্টাকে অন্বেষণ করতে গিয়ে প্রাচ্যের ধর্মগুলো নিয়ে পড়ালেখা শুরু করলাম।অবশ্য প্রথমে ইসলাম থেকে দূরত্ব বজায় রাখলাম, কেননা আমাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা ছিল। আমাদেরকে বোঝানো হতো যে ইসলামে নারীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় এমনকি মানুষই মনে করা হয় না। হিন্দুত্ববাদ নিয়ে পড়ালেখা করলাম।কিন্তু আমার কাছে মোটেই আকর্ষণীয় মনে হলো না। বৌদ্ধবাদ তারচেয়ে অনেকটা ভালো বলে মনে হলো। কিন্তু তাদের চিন্তাভাবনাগুলো খুব একটা যৌক্তিক বলে মনে হয় নি আমার। এগুলো আমার তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হলো না। এইবাতের ভেতরে সত্য সন্ধানী কৌতূহলী একটা সুরের অনুরণন খেলে যাচ্ছিল, তিনি আনমনেই সেদিকে ছুটলেন। স্রষ্টাকে খুঁজে ফেরার আকর্ষণ তাঁর ভেতরে ধীরে ধীরে শিখার প্রজ্জ্বলিত হতে লাগলো। সেই আলোয় তিনি সত্যের পথ অন্বেষণে ধাবিত হলেন। এরকম একটা সময়ে তাঁর মা মিশর সফরে যান। তার কিছুদিন পর মিস এইবাতও মিশর সফরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানেই তাঁর ভেতরে জাগরণের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখা দিল। তাঁর ভাষায়ঃ
"যখন মিশর অভিমুখী বিমানের ভেতর ছিলাম,হেডফোন কানে লাগিয়ে রেডিও শুনছিলাম। রেডিও শুনবো কী! কেবল নব ঘুরাচ্ছিলাম। ওয়েব ব্যাণ্ড বা তরঙ্গের পর তরঙ্গে নব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেলা করছিলাম। হঠাৎ করে বিশেষ একটা রিদমিক সুর কানে বেশ ভালো লাগলো। সম্ভবত আরবি ভাষার সঙ্গীত ছিল। সুরটা আমার কাছে এতো বেশী স্বস্তিদায়ক এবং প্রশান্তিকর ছিল যে বিমানে যতোক্ষণ ছিলাম আমি আর ঐ ব্যান্ডটা পাল্টাই নি। যদিও আমি জানতাম না এর অর্থ কী! যাই হোক, মিশরে সবকিছুই আমার ভালো লাগল। গরিব মুসলমানদেরকেও দেখলাম অভাব-অভিযোগ সত্ত্বেও বেশ উদার এবং নিজেদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। এটা বেশ অবাক করার মতো ব্যাপার ছিল, কেননা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে মানুষেরা সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু টাকার পেছনে ছোটে, তারপরও তারা সবসময় অতৃপ্ত এবং অসন্তুষ্ট। পাশ্চাত্যে একটা মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত কর্মঠ থাকে ততোক্ষণ তাকে মূল্যায়ন করা হয়। বয়স্ক বা বৃদ্ধরা সেখানে বৃদ্ধাশ্রমে কাটায়। অথচ মুসলমানরা বয়স্কদেরকে বেশ সম্মান করে। ভ্যাপারটা আমাকে বেশ আকৃষ্ট করল। পরে বুঝলাম এটা তাদের ইসলামী সংস্কৃতিরই অঙ্গ। মুসলমানরা রমযান মাসে রোযা রাখে এবং নিজেদের আচার-আচরণের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকে। ইসলামে পারিবারিক ব্যবস্থাটি বেশ মার্জিত। ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের সাথে পূত-পবিত্র জীবন যাপন করে। সাধারণত অন্যায়ের কেন্দ্রগুলো থেকে তারা দূরত্ব বজায় রাখে। আর এই সুন্দর ব্যবস্থাপনাগুলো অপর ধর্মের লোকজনকে ইসলামে দীক্ষিত হলো অনুপ্রাণিত করে। এজন্যেই লক্ষ্য করা গেছে গত বছর ইউরোপে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। এদের বেশিরভাগই হলেন শিক্ষিত শ্রেণী। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে যেভাবে ফেৎনা ফাসাদে, যুদ্ধ-বিগ্রহ, শোষন-নিপীড়ন লেগেই আছে তাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। শিক্ষিত শ্রেণী তাই নীতি-নৈতিকতা আর চিন্তা-চেতনার নবমূল্যায়নের পেছনে ছুটছে। এভাবে গবেষণা করতে গিয়েই তারা ইসলামের যুগোপযোগী অনাবিল আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলামের দাওয়াত গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে ধন্য করার অবকাশ পাচ্ছে।
২.
ইউরোপে যারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত শ্রেণীর। কেননা বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতা আর শোষণ-বঞ্চনাক্লিষ্ট মানুষ এখন নিরূপায় হয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান আশা করছে। সেই লক্ষ্যেই চিন্তাশীল ব্যক্তিরা গবেষণা চালাচ্ছেন। আর যারাই গবেষণা চালাতে গিয়ে ইসলামী আদর্শ নিয়ে পড়ালেখা করেন তারাই অনন্য এই আদর্শের মোহে বিমুগ্ধ হয়ে যান এবং ইসলাম গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে ধন্য করে তোলেন।কেননা তাঁরা যে আদর্শ বা পরিত্রাণের যেরকম মাধ্যম খুজেঁ বেড়ান সে সবই খুজেঁ পান ইসলামে। বেলজিয়ামের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন লওজ ওয়ার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে লিখেছে,চল্লিশ হাজারেরও বেশি বেলজিয়ান নাগরিক গেল ক'বছরে মুসলমান হয়েছে। বেলজিয়ামের মোট জনসংখ্যা এক কোটির মতো। তার মাঝে মুসলমানদের সংখ্যাই হলো সাড়ে চার লাখ। এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করে সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনটি লিখেছেঃ এভাবে এতাটা দ্রুততার সাথে যদি বেলজিয়ানরা ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে তাহলে ২ হাজার ১২ সালের মধ্যে বেলজিয়ামে মুসলমানদের সংখ্যা পাঁচ লাখে পৌঁছে যাবে। যেসব বেলজিয়ান ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন তাদের এই ধর্মান্তরের পেছনে যে যুক্তিটি তারা দেখান তাহলো ইসলামে মানুষ এবং খোদার মাঝে কোনোরকম মাধ্যম বা তৃতীয় পক্ষের অস্তিত্ব নেই। তাদের দৃষ্টিতে আধ্যাত্মিক জীবনে পবিত্রতার ক্ষেত্রে ইসলামের যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। মিস এইবাত বলেন, মিশরে একদিন এক কফি হাউজের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ কানে ভেসে এলো সেই মিষ্টি মধুর আওয়াজ-বিমানের ভেতর রেডিওতে যা শুনে আমি প্রশান্তি পাচ্ছিলাম। আমি পেরেক বিদ্ধের মতো দাঁড়িয়ে গেলাম। জানতে চাইলাম এটা কিসের শব্দ।বললো এ হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ। আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঐ কোরআনের একটা ইংরেজি সংস্করণ জোগাড় করে পড়লাম। আমি ভীষণভাবে কোরআনের আয়াতের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়লাম। আমি বিস্ময়কর এই গ্রন্থে জীবনের পরিপূর্ণ বিধি-বিধান লক্ষ্য করলাম। দেখলাম সবকিছুই যৌক্তিক এবং বাস্তবায়নযোগ্য।এমন কোনো বিষয় নেই যার সম্পর্কে কোরআনে বলা হয় নি।কোরআনের যে বাচনভঙ্গি,অন্যদের সাথে সম্পর্কের যে প্রক্রিয়া,হালাল-হারামের ব্যাপারে যেরকম গুরুত্বারোপ, জ্ঞান,মনোবিজ্ঞান, পরিবার, প্রশিক্ষণ, শাসনকার্য ইত্যাদি সকল কিছুই ইসলামে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি ইঞ্জিলের পরিবেশের মধ্যে বড়ো হয়েছি তবে আমার মনে হতো ইঞ্জিলের একটা অংশ খোদার বক্তব্য নয়। সে রাতে আমি যখন আমার রুমে কোরআন পড়লাম ঠিক তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম ইঞ্জিল এবং কোরআনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কোরআনের যে বক্তব্য তা এক আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তার অর্থও একদম যথার্থ এবং সুস্পষ্ট। ঐ রাতে আমি সকাল পর্যন্ত কোরআন পড়েছি। অবশেষে আমি এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছলাম যার সাথে আমার চিন্তার সাযুজ্য রয়েছে। আমি ভাবতাম ইসা (আ) কিছুতেই খোদা হতে পারে না। যদি তিনি খোদাই হতেন তাহলে তিনি এই মর্তলোকে বসে কার দরবারে মোনাজাত দিতেন? মূলত যিনি খোদা,তাঁর তো মুনাজাত দেওয়ারই প্রয়োজন নেই। কোরআন সুস্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বলেছেঃ হে আহলে কিতাব! তোমরা তো ইসা (আ) কে খোদার পুত্র বলে অভিহিত করো,অথচ তিনি কেবল একজন পয়গাম্বর মাত্র। কোরআন আমাকে এমনভাবে আকৃষ্ট করলো যে পরদিন সকালে আমি আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম এবং মুসলমান হয়ে গেলাম। মিস এইবাত ইসলাম গ্রহণ করাটাকে অভ্যন্তরীণ পবিত্র যে আহ্বান আছে তার ডাকে সাড়া দেওয়া বলে মনে করেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন কোরআনের প্রাণদায়ী আয়াতগুলোর আলোকরশ্মি সৌন্দর্য আর নূরের জানালা দিয়ে তাঁর চেহারায় এসে পড়েছে। তিনি বলেন যখন কোরআন পড়লাম, এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম যে এই গ্রন্থের শিক্ষাগুলো সেই মহান জিনিস যেগুলোকে সবসময় নিজের ভেতর লালন করতাম এবং সেসব নিয়ে সবসময় ভাবতাম। আসলে কোরআন একটা স্মরণীয় জিনিস, যখনি তা আমার স্মৃতিতে জেগে ওঠে ভাবতেই ভালো লাগে যে কী চমৎকার এবং পূত-পবিত্র জিনিস আমার অস্তিত্ব জুড়ে বিরাজ করছে। আমি যেহেতু ইসলামের বিধি-বিধানগুলো যথার্থভাবে জানতাম না,তাই অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসার পর স্বভাবগতভাবেই আমি উপলব্ধি করলাম যে অন্যায় বা গুনাহের পরিবেশ থেকে দূরে থাকা উচিত। বিশিষ্ট মুসলিম চিন্তাবিদ আবু হামেদ গাযযালী মনে করেন মানুষের চিন্তাগত পরিবর্তনকে মূল্যায়ন করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। সেজন্যেই সত্যকে উপলব্ধি করার যে আনন্দ এবং উত্তেজনা মানুষের ভাগ্যে জোটে সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তারপরও বহু নওমুসলিম এই অবস্থা বা পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করেছেন। তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করাকে এমন একটা নূরের প্রভাব বলে মনে করেন যা আল্লাহ তায়ালা তাদেঁর অন্তরে প্রজ্জ্বলিত করে দিয়েছেন এবং তাঁদেরকে সত্যের ঝর্ণাধারায় অবগাহিত করেছেন।
পাঠক! যাঁরা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চা না করলেও মোটামুটি বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়ালেখা করে তাদেঁর কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করে থাকেন, তাঁরা অস্ট্রেলিয় নওমুসলিম এইবাত বালদাচিনার কথাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবেন এবং নতুন কোনো বক্তব্য থাকলে কিংবা আপনাদের কোনো দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে তাও আমাদের জানাতে পারেন। মনে রাখবেন ইসলাম সবসময় গবেষণাকে প্রাধান্য দেয়। এমনকি কলমের কালিকে শহীদের রক্তের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান বলে মনে করে।তাই গবেষণা করলে অনেক বেশি কল্যাণ পেতে পারেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দিন।
সূত্র: পার্স টুডে
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ১২,২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- বিএসএফের গুলিতে নিহত লিটন মিয়ার মরদেহ হস্তান্তর
- যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- ইভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- ত্রিশালে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
- ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- দায়িত্ব নিয়েই ভিসি বললেন, দুর্নীতি করবো না
- একনেকে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন
- বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী দমন নিপীড়নের শিকার: মির্জা ফখরুল
- "এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে"
- ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টার ফ্রিজ পেলেন আসাদুজ্জামান
- আমার সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: মেসি
- আজ থেকে ৫ স্থানে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ পাওয়া যাবে
- ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ
- রেকর্ডের ম্যাচে মুম্বাইকে হারালো হায়দরাবাদ
- গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৫০০ জনে
- ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর
- ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, দেখা যাবে যেভাবে
- ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
- যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- হাসপাতালে নয়, বাড়িতেই থাকবেন খালেদা জিয়া
- আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম: যুক্তরাষ্ট্র
- শাহজালাল বিমানবন্দরে অর্থ পাচার: ব্যাংক কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ
- বিদায়টা সুখকর হলো না বিএসএমএমইউ উপাচার্যের
- ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত বৃহস্পতিবার
- ব্যারিস্টার খোকনকে বারের সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণে বারণ
- উপজেলা নির্বাচনে ভোটের দিন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে
- বিএনপির নেতাদের বউরা যেন ভারতীয় শাড়ি না পরেন: প্রধানমন্ত্রী
- দেশ ও রাষ্ট্রকে গিলে ফেলেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
- ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসছে
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়লো
- সূচক ৩৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে
- বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে রিজভীর কোনো ধারণা নেই: আব্দুর রাজ্জাক
- আলমডাঙ্গায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজ্জাক খান রাজের ইফতার মাহফিল
- মিনিস্টার গ্রুপ এবং ফরাজী হাসপাতাল লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- সিএসইর নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক রেজওয়ানুল হক খান
- এডিএন টেলিকমের উদ্যোক্তার শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা
- সিঙ্গারের গৃহস্থালী সামগ্রী প্ল্যান্টের পরীক্ষামূলক উৎপাদনের অনুমতি
- সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে এস্কয়ার নিটের সংশোধনী
- ব্র্যাক ব্যাংকের পর্ষদ সভা ২ এপ্রিল
- লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭
- "মানুষকে সহযোগিতা করতে পারলে বকা শুনতে আমি রাজি"
- সিরিজের কোন ম্যাচেই একশ করতে পারলোনা বাংলাদেশ
- ২৬ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- ঈদের ছুটি ২ দিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
- মেট্রোরেল চলাচলের সময় রাতে ১ ঘণ্টা বাড়লো
- ১৫ দিনেও মুক্তি মিলেনি জিম্মি নাবিকদের
- গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা 'অনেক বেশি': যুক্তরাষ্ট্র
- ঈদের আগেই সকল শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- স্বাধীনতা দিবসে সীমান্তে গুলি করে হত্যার পরেও সরকার নিশ্চুপ: মির্জা ফখরুল
- "গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে"
- স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার দিতে বিএসইসির প্রাক-মূল্যায়ন কমিটি
- ভুটানের চিকিৎসকদের ট্রেনিং দিবে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- লিটনকে না খেলালে ভালো হতো: পাপন
- পুঁজিবাজারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ
- গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩২ হাজার ৩৩৩ জনে
- গুগলের ডুডলে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
- স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের রাজা
- আমাদের কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
- গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: জয়
- "এবার ঈদে রেলে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হবে না"
- বিজয় দিবসে ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
- জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন: কাদের
- স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও গণতন্ত্রের মুক্তি মেলেনি: মঈন খান
- টাইগারদের লজ্জার পরাজয়
- সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ
- উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক: ইসি
- জিম্মি জাহাজে সামরিক অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- সাংবাদিকের উপর হামলা: দুই ছাত্রলীগ নেতার জামিন
- বুধবার থেকে নতুন নিয়মে চলবে মেট্রোরেল
- বিএনপি বাংলাদেশের পতাকা চায়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- "ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার"
- বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে প্রভু নাই: ওবায়দুল কাদের
- জয়ে আইপিএল শুরু গুজরাটের
- জব্দ হতে পারে ট্রাম্প টাওয়ার
- নাইজারে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৩ জন সেনা নিহত
- দেশের ৩ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ের আশঙ্কা
- ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম
- ভারতীয় পণ্য বর্জনে করা পাগলামি: ওবায়দুল কাদের
- পাকিস্তানি কায়দায় ভারত বিরোধীতাকে ইস্যু বানাচ্ছে বিএনপি: কাদের
- সাকিবের ৩৭তম জন্মদিন আজ
- সপ্তাহ ব্যবধানে সবজি ও পেঁয়াজের দাম কমেছে
- ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
- সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো ছাত্রলীগ
- বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক আজ, থাকবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ইস্যু
- মস্কো হামলা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
- টিসিবি’র পণ্য তালিকায় কয়েকটি পণ্য যুক্ত হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না: জাতিসংঘ
- রমজানে রান্নার ঝামেলা কমাবে মিনিস্টারের মাইক্রোওয়েভ ওভেন
- ২২ দিনে রেমিট্যান্স ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা
- ৮শ’ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি ইসরায়েল
- গাজায় ইসরাইলের হামলায় ১৩৬ সাংবাদিক নিহত
- এনএসআইয়ের চাকরির দিতে চেয়েছিলেন সেরেস্তাদার, দুদকের মামলা
- আড়াই ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চলের ১১ হাজার টিকিট বিক্রি
- সূচকের বড় পতনে দিয়ে লেনদেন শেষ
- সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি: হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা
- বিএসএমএমইউতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
- ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন