thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

বিএনপির ৩৮ জন রিমান্ডে

২০১৮ নভেম্বর ১৫ ২৩:৫৬:২৫
বিএনপির ৩৮ জন রিমান্ডে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পৃথক তিন মামলায় ৩৮ জনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আরও ২৭ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলেন, আসামি ২৭ জনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসে জেলগেটের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

এদিন পল্টন থানার এ পৃথক তিনটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজন কুমার তালুকদার, শেখ মো.জসিম উদ্দিন এবং কাজী আশরাফুল হক রিমান্ডকৃত আসামিদের ১০ দিন এবং রিমান্ড নামঞ্জুরকৃত আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন।

আসামি পক্ষে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, মহসিন মিয়াসহ আরও অনেকে আসামিদের রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, ‘সরকারের উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই সরকারই শেষ সরকার নয়। আরও সরকার আসবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আসামিদের জামিন দিন। দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ তার দ্বায়ভার নেবে না সরকারকেই নিতে হবে।দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন, তাই জামিন দিয়ে আজ নজির স্থাপন করুন।’

রিমান্ডকৃত আসামিরা হলেন– সাবেক ছাত্রদল নেতা মনোজ সরকার,নেত্রকোনা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ, ছাত্রদল নেতা ফাহিম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান, ছাত্রদল নেতা উৎপল সরকার,কেন্দ্রীয় বিএনপির কমিটি প্রার্থী সুফিয়ান, জাকির হোসেন, হানিফ উদ্দিন ওরফে রানা, ঢাবির মহসিন হল শাখা ছাত্রদল নেতা মাহবুব মিয়া, আনিসুর রহমান, ছাত্রদলের সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আতিকুর রহমান তালুকদার, মাইনুল হাসান মোহন, আনোয়ারুল হক ও মোহাম্মদ সুরুজ মণ্ডলসহ ৩৮ জন।

জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আসামিরা হলেন– কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. নিজাম উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার হারুন অর রশিদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাহারুল আলম বাহার, বিএনপির সক্রিয় কর্মী আলমগীর হোসেন, সোনাগাজী পৌর বিএনপির সভাপতি হোসেন আহম্মদ, বিএনপির সক্রিয় কর্মী তারিকুল ইসলাম, বালিয়াকান্দার যুবদলের সহ-সভাপতি আরিফুজ্জামান, খায়রুল কবির কাজল, বিএনপির সক্রিয় কর্মী মুসা আহম্মেদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, এসএম নাজমুল হোসেন, মাসুদ রানা, কেএম তারিকুল ইসলাম আরিফ, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে শামীম, রকিব আল মান্নান, সাইফুল আলম গজনবী চয়ন, ছাত্রদল নেতা মো. মোখসেদ আলম জুয়েল, নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদল সভাপতি ফরিদ হোসেন বাবু, জামায়াতের রোকন জাহিদুল ইসলাম মামুন, ছাত্রদল নেতা মো. রুবেল বেপারি, নাগরপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল কবির, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান লিপু, দারুসসালাম থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন স্বপন, চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলব থানা থানার কাদেরগাঁও ইউনিয়নের বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিলানী তালুকদার, কাদেরগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো.লিটন মজুমদার ও বিএনপি সদস্য মো. সোহাগ।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্বাচন আচরণবিধিতে ব্যান্ডপার্টি, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শো-ডাউন করার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে ব্যান্ডপার্টি, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শো-ডাউন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। এরপর নবী উল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর দুটি মিছিল শোডাউন দিয়ে একই দিকে আসতে থাকে এবং এবং সর্বশেষ মির্জা আব্বাস ৮ থেকে ১০ হাজার জনের একটি মিছিল নিয়ে কার্যালয়ে আসেন। তারা নয়াপলন্টস্থ ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শো-ডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার জন্য তাদের রাস্তার এক লেন ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়। তাদের নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের বিষয়টি বিএনপি অফিসে অবস্থানরত রুহুল কবীর রিজভীসহ অন্য সিনিয়র নেতাদেরকে জানানো হয়। অফিসের মাইকের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার বিষয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঘোষণা দিতে অনুরোধ করা হয়। বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে নয়াপল্টনস্থ ভিআইপি রোডে হকস বে নামের গাড়ির শোরুমের উত্তর পাশে রাস্তায় আসামিরা বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠি-সোঁটা নিয়ে দাঙ্গা করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা কয়েকটি ককটেলও নিক্ষেপ করে।

ওই ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ১৫,২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর